গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
বিরোধী সাংসদদের আপত্তি উপেক্ষা করেই ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের নতুন খসড়া অনুমোদন করল যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)। তবে বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলির সাংসদেরা যে সংশোধনী প্রস্তাবগুলি জমা দিয়েছিলেন, তার ১৪টি গৃহীত হয়েছে বলে কমিটির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পাল জানিয়েছেন।
সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়ার পরে ওই বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিললে ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনের নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। বৈঠক শেষে জগদম্বিকা বলেন, ‘‘বিলের প্রতিটি (৪৪টি সংশোধনী) ধারা ধরে পর্যালোচনা করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনেই সিদ্ধান্ত হচ্ছে। ১৪টি সংশোধনী-সহ বিলটি পেশ করার জন্য সরকারের কাছে জেপিসি সুপারিশ করবে।’’ সরকার পক্ষের তরফে ২৩ এবং বিরোধীদের তরফে ৪৪টি সংশোধনী প্রস্তাব কমিটিতে জমা পড়েছিল বলে জানান তিনি।
খবরে প্রকাশ, ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে রিপোর্ট পেশ করবে জেপিসি। প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়েছিল কমিটির বৈঠক। জেপিসির সদস্য তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বৈঠক শুরুর ৪১ মিনিট আগে সংশোধনীর তালিকা সংক্রান্ত নথি হাতে পেয়েছেন তিনি। ফলে তাঁর পক্ষে প্রস্তাবিত সংশোধনী পর্যালোচনা করাই সম্ভব হয়নি। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪-য় বর্ণিত তাঁর মৌলিক অধিকারও খর্ব করা হয়েছে বলে চেয়ারম্যান জগদম্বিকাকে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন কল্যাণ। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ সোমবারের বৈঠককে ‘প্রহসন’ বলেছেন। বৈঠকের পর কল্যাণ বলেন, ‘‘ভোটাভুটিতে ১৬-১০ ব্যবধানে বিলের খসড়া অনুমোদিত হয়েছে। বিলের ধারাগুলি নিয়ে কোনও আলোচনা ছাড়াই হাত তুলে ভোটাভুটি হয়েছে। বিজেপি, জেডিইউ, তেলগু দেশমের মতো দল বিল সমর্থন করেছে। তাদের ১৪টি সংশোধনী গৃহীত হলেও আমাদের একটিও সংশোধনী গ্রহণ করা হয়নি। আজ ভারতীয় গণতন্ত্রের কালো দিন।’’
বিরোধীদের প্রবল আপত্তি ও হট্টগোলের মধ্যে গত ৮ অগস্ট লোকসভায় ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘুমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। বিলটি ‘অসাংবিধানিক এবং মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপকারী’ বলে অভিযোগ তুলে বিরোধীরা একযোগে তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, ৪৪টি সংশোধনী এনে ওয়াকফ বোর্ডের উপর সরকারি কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। দীর্ঘ বিতর্কের শেষে ঐকমত্যের লক্ষ্যে বিলটি জেপিসির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। বিজেপি সাংসদ জগদম্বিকার নেতৃত্বাধীন ৩১ সদস্যের জেপিসিতে শাসক শিবিরের সাংসদেরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। অভিযোগ, বিরোধীদের আপত্তি উপেক্ষা করেই কার্যত একতরফা ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy