এই তরুণীকেই চিহ্নিত করেছে পুলিশ। —ফাইল চিত্র
সোশ্যাল মিডিয়া আগেই চিহ্নিত করেছিল। মুখে কালো স্কার্ফ বাঁধা, চেক শার্ট ও জিন্স পরা এক তরুণীর হাতে লাঠি। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এ মুখোশধারী বাহিনীর হামলায় এ বার সেই তরুণীকে শনাক্ত করল দিল্লি পুলিশ। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বলে যদিও তাঁর নাম-ঠিকানা এখনও জানায়নি জেএনইউ কাণ্ডের তদন্তকারী দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল (এসআইটি)। নাম-পরিচয় জানার পরেও কেন তা প্রকাশ করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, ওই তরুণী এবিভিপির সদস্য বলেই কি পুলিশ তাঁর নাম-পরিচয় গোপন রাখতে চাইছে?
গত ৫ জানুয়ারি মুখোশধারী এক দল যুবক-যুবতী জেএনইউ-এ ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। সাবরমতি হস্টেলে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুরের পাশাপাশি পড়ুয়া-অধ্যাপকদের মারধর করে ওই দলের লোকজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ অন্তত ৩৪ জন আহত হন। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র দিকে।
ওই দিনের হামলার একাধিক ছবি-ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তার মধ্যেই দেখা যায় নীল রঙের স্কার্ফে মুখ ঢাকা, চেক শার্ট এবং জিন্সের প্যান্ট পরা এক তরুণী ওই হামলাকারী দলের সঙ্গে রয়েছেন। তাঁর সেই ছবি এবং ফেসবুক প্রোফাইলের স্ক্রিন শট দিয়ে একাধিক পোস্ট এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ঘুরছে, যাতে তাঁর নাম এবং রাজনৈতিক পরিচয়ও দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, তিনি এবিভিপির সক্রিয় সদস্যা।
দিল্লি পুলিশ যদিও তাঁর নাম-ঠিকানা বা রাজনৈতিক পরিচয় কিছুই স্পষ্ট করেনি। শুধু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে জানিয়ে বলা হয়েছে, শীঘ্রই তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে তদন্তের জন্য ডেকে পাঠানো হবে। কিন্তু কেন চিহ্নিত করার পরেও তাঁর নাম ও রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করল না দিল্লি পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অথচ এই বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান তথা ডেপুটি কমিশনার (ক্রাইম) শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে জেএনইউ কাণ্ডে জড়িতদের নাম, ছবি ও রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করেছিলেন। মুখোশধারী বাহিনীর হামলার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’দিন ধরে চলা আট অভিযুক্তদের তালিকায় ছ’জনই ছিলেন বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্য-সদস্যা। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের এই তদন্ত নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
তার মধ্যেই জেএনইউ কর্তৃপক্ষ আজ সোমবার একটি নির্দেশিকা জারি করে ক্লাস শুরুর করার কথা বলেছেন অধ্যাপকদের। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসে পঠনপাঠনের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেএনইউ অধ্যাপক সংগঠনের দুই সদস্য অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা করেছিলেন। সেই আন্দোলন রুখতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy