হায়দরাবাদের বিমানে ঝাড়খণ্ডের বিধায়কেরা। ছবি: পিটিআই।
ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআই (এমএল) জোটের ৩৯ জন বিধায়ককে বৃহস্পতিবার রাতেই হায়দরাবাদে পাঠানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু রাঁচী থেকে তাঁদের বিমান উড়তেই পারল না। খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাতে রাঁচীতেই থাকতে হচ্ছে বিধায়কদের।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার রাতে রাঁচীর বিরসা মুণ্ডা বিমানবন্দর থেকে কোনও বিমান উড়ছে না। সব বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। দু’টি চার্টার্ড বিমানে জোটের শরিক ৩৯ জন বিধায়ককে হায়দরাবাদে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। বিমানে তাঁরা উঠেও পড়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাঁদের আর যাওয়া হচ্ছে না।
জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআই (এমএল) জোটের চার বিধায়ক হায়দরাবাদের বিমানে ওঠেননি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, জেএমএমের চম্পই সোরেন স্বয়ং। ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যাঁর নাম দলের তরফে প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া, কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা আলমগির আলম, সিপিআই (এমএল)-এর বিনোদ সিংহ এবং জেভিএম (বর্তমানে কংগ্রেস) বিধায়ক প্রদীপ যাদব হায়দরাবাদের বিমানে ওঠেননি। তাঁদের নিয়ে কোনও মন্তব্যও করা হয়নি জোটের তরফে। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করে রাজভবন থেকে বেরোনোর সময় চম্পই বলেন, ‘‘আমরা ৪৩ জন বিধায়ক ঐক্যবদ্ধ। আমরা রাঁচীর সরকারি গেস্ট হাউসে রয়েছি।’’
জমি জালিয়াতি মামলায় ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বুধবার রাতে তিনি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তার পর বৃহস্পতিবার তাঁকে ঝাড়খণ্ডের বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। ইডি সোরেনকে ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে। কিন্তু আদালত এ বিষয়ে রায় স্থগিত রেখেছে। বৃহস্পতিবার রাত জেলে কাটাচ্ছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুক্রবার সেই মামলা শুনবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
সোরেনের গ্রেফতারির পরেই রাজভবনে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থনপত্র নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানিয়েছিলেন চম্পই। কিন্তু রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের থেকে এখনও সরকার গড়ার আমন্ত্রণ পাননি তিনি। ঝাড়খণ্ডের বিজেপি-বিরোধী শিবিরের অনেক নেতাই এখন ‘বিধায়ক কেনাবেচা’ করে সরকার বদলের আশঙ্কা করছেন। অতীতে যে অভিযোগ রয়েছে উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল, কর্নাটক কিংবা মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের ক্ষেত্রে। বিরোধীদের একাংশের আশঙ্কা, বিধায়ক কেনাবেচার ‘সময়’ করে দিতেই চম্পইকে সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানাতে দেরি করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিধায়কদের রাঁচী থেকে দূরে সরানোর জন্য হায়দরাবাদে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু তা ভেস্তে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy