কারিগরি শিক্ষা দফতরের জুনিয়র অডিটরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা, গয়না। ছবি: সংগৃহীত।
আবারও শিরোনামে ভোপাল। আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে এ বার ওই শহরেই রাজ্য সরকারের কারিগরি শিক্ষা দফতরের এক জুনিয়র অডিটরের বাংলোয় হানা দিয়েছিল লোকায়ুক্তের বিশেষ দল। সেই তল্লাশি অভিযানেই রমেশ হিঙ্গোরানি নামে ওই অডিটরের বাংলো থেকে নগদ লক্ষ লক্ষ টাকা এবং গয়না উদ্ধার হয়। এ ছাড়াও কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির নথিও উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
হিঙ্গোরানির বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ দায়ের হয়। তার পর বুধবার তাঁর বাংলো-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি অভিযানে যায় লোকায়ুক্তের বিশেষ দল। সূত্রের খবর, ওই আধিকারিকের বাড়ি থেকে ৭০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং ৫৫ লক্ষ টাকার রুপোর গয়না উদ্ধার হয়। এ ছাড়াও হিঙ্গোরানির আরও ছ’টি আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১৩ লক্ষ টাকা এবং কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির নথিও উদ্ধার করা হয়।
ছ’টি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। যে ছ’টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয় তার মধ্যে রয়েছে হিঙ্গোরানির বাংলো। এ ছাড়াও রয়েছে তাঁর পুত্রের দু’টি স্কুল এবং অফিস। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হিঙ্গোরানির লক্ষ্মণনগরের বাংলো থেকে সোনা, রুপো গয়না এবং নগদ টাকা ছাড়াও চারটি দামি গাড়ি, পাঁচটি বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শুধু হিঙ্গোরানি নয়, তাঁর দুই পুত্র যোগেশ এবং নীলেশের বিরুদ্ধেও জবরদখল করে সরকারি জমি বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। তদন্তকারী সূত্রে খবর, বুধবার রাতে আচমকা অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবারও সেই অভিযান চলছে। হিঙ্গোরানির মোট কত সম্পত্তি, এখনও তার চূড়ান্ত হিসাব হয়নি।
২০২৩ সালে ভোপালেরই এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে তল্লাশি চালায় লোকায়ুক্ত পুলিশ। নাম হেমা মীণা। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের হাউজ়িং কর্পোরেশনের এক জন ইঞ্জিনিয়ার। ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্ত করছিল লোকায়ুক্ত পুলিশ। তল্লাশি চালানোর সময় মীণার ঘর থেকে উদ্ধার হয় ৩০ লক্ষ টাকার একটি টিভি, ৫০টি বিদেশি কুকুর। এ ছাড়াও ১০টিরও বেশি বিলাসবহুল গাড়ি। তদন্তকারীরা জানান, মীণার মাসিক বেতন ছিল ৩০ হাজার টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy