‘কিংমেকার’ হওয়া তো দূর, মাত্র ১৯টি আসন জিতে উল্টে রাজ্যে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে জেডিএস। ফাইল চিত্র।
ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হবে ধরে নিয়ে কে মসনদে বসবে তার নির্ণায়ক শক্তি (‘কিংমেকার’) হতে চেয়েছিলেন জেডিএস প্রধান এইচি ডি কুমারস্বামী। এমনকি পরিস্থিতি অনুকূল হলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বলে আশা করছিলেন জেডিএস নেতারা। কিন্তু আজ ভোটের ফলে স্পষ্ট, ‘কিংমেকার’ হওয়া তো দূর, মাত্র ১৯টি আসন জিতে উল্টে রাজ্যে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে গিয়েছে জেডিএস। কুমারস্বামী চান্নাপাটনা ও তাঁর দাদা রেভান্না হলেনরসিপুর থেকে জিতলেও, রামনগর কেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছেন কুমারস্বামীর ছেলে নিখিল। ওই কেন্দ্রটি এত দিন জেডিএসের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল।
জেডিএসের মূল ভোটব্যাঙ্ক হল ভোক্কালিগা সমাজ। এ যাত্রায় দলের খারাপ ফলের জন্য ভোক্কালিগা সমাজের সরে যাওয়াকেই দায়ী করছেন জেডিএস নেতৃত্ব। কর্নাটকের রাজনীতিতে নব্বইয়ের দশকে কুমারস্বামীর পিতা এইচ ডি দেবগৌড়া মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ভোক্কালিগা অধ্যুষিত মাইসুরু এলাকা থেকে জিতে এসেছেন জেডিএসের প্রার্থীরা। কিন্তু এ যাত্রায় পুরনো মাইসুরু-বেঙ্গালুরু এলাকায় কার্যত কংগ্রেসের হাতে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে জেডিএসকে। পুরনো মাইসুরুতে ৫৫টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস যেখানে ৩৪টি আসনে জিতেছে সেখানে জেডিএস পেয়েছে ১৪টি আসন। গত বার থেকে এ যাত্রায় ১৮টি আসন কম পেয়েছে জেডিএস। যার জন্য মাইসুরু এলাকায় ভোক্কালিগাদের সমর্থন হারানোকেই দায়ী করছে জেডিএস।
ভোক্কালিগাদের সমর্থন হারানোর পিছনে পরিবারবাদের রাজনীতিকেই দায়ী করেছেন রাজনীতির অনেকে। পরিবারভিত্তিক দল হিসেবে কর্নাটকের রাজনীতিতে পরিচিত জেডিএস। বাবা-ছেলে ও নাতি বিধায়ক-সাংসদ হওয়ার পরে এ যাত্রায় দেবগৌড়ার দুই পুত্রবধূ নির্বাচনে লড়বেন বলে জেদ ধরে বসেন। পারিবারিক ওই বিবাদ মেটাতে শেষে আসরে নামতে হয় দেবগৌড়াকে। পরিবারবাদ ও স্বজনপোষণের ওই ছবি আদৌ ভাল ভাবে নেননি দলের কট্টর সমর্থকেরা। তা ছাড়া ভোক্কালিগা নেতা হিসেবে কংগ্রেসের ডি কে শিবকুমারের প্রভাব ওই সমাজের ভোট যেমন পেতে সাহায্য করেছে তেমনই আর এক কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার কারণে সংখ্যালঘু ও অন্য পিছিয়ে থাকা শ্রেণি কংগ্রেসকে ওই এলাকায় ঢেলে ভোট দিয়েছে। পরিবারবাদ ছাড়াও জেডিএস যে ভাবে নিজেদের ‘কিংমেকার’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছিল, তাতে ২০১৮ সালের মতো ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। রাজনীতির অনেকের মতে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে স্থায়ী সরকারের লক্ষ্যেই স্থানীয় মানুষ খোদ জেডিএসের গড়েই কুমারস্বামীকে ছেড়ে কংগ্রেসকে বেছে নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy