ঘটনাস্থল থেকে ইনসাস রাইফেলের ১৯টি খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছিল। ফাইল চিত্র ।
ভাটিন্ডা সেনাছাউনিতে সেনা জওয়ানদের উপর গুলি চালানো হয় ঘুমন্ত অবস্থাতেই। এমনটাই জানালেন পঞ্জাব পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা। ওই ঘটনায় ৪ সেনা জওয়ান নিহত হন। ভাটিন্ডার পুলিশ সুপার (তদন্ত) অজয় গান্ধী জানান, প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে, দুই সেনা জওয়ানই এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন। পুলিশের অনুমান, সাধারণ পোশাক পরেই তাঁরা সামরিক ছাউনিতে ঢুকেছিলেন। এবং গুলি চালানোর পর পরই তাঁরা ঘটনাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যান। যদিও কী কারণে গুলি চালানো হয়েছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, যে ইনসাস বন্দুকটি খোয়া গিয়েছিল, সেটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। বন্দুকটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ইনসাস রাইফেলের ১৯টি খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছিল। দু’দিন আগেই সামরিক ছাউনি থেকে একটি ইনসাস রাইফেল এবং ২৮ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়। সেই বন্দুক দিয়েই হামলা চালানো হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভাটিন্ডার এসএসপি গুলনীত খুরানা এ-ও স্পষ্ট করেছেন, এই অপরাধের ঘটনায় কোনও সন্ত্রাসবাদীর যোগ নেই।
বুধবার ভোরে ভাটিন্ডার সেনা জওয়ানদের ছাউনিতে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটে। ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় ৪ সেনা জওয়ানের।
ইতিমধ্যেই সামরিক ছাউনিতে গুলিকাণ্ডের ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও অধরা হামলাকারীরা। সামরিক ছাউনিতে এখনও চিরুনিতল্লাশি চলছে। অপরাধীদের খুঁজে পেতে আশপাশের সমস্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ।
এসএসপি গুলনীত বলেন, ‘‘বিষয়টি তদন্তাধীন। আমরা বিস্তারিত ভাবে তদন্তের জন্য সামরিক ছাউনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy