— ফাইল চিত্র
দু’বছরের ছেলেটা ফ্যাল ফ্যাল চোখে দেখছে ঘরভর্তি লোক। আর দেখছে ঘরের মানুষগুলোর অঝোর কান্না! বুঝতেও পারছে না দীপাবলির আগের দিনেই, অন্ধকার নেমে এসেছে বাড়িতে। মাত্র দু’ মাস আগে কাশ্মীরের উরিতে পোস্টিং হয়েছিল হরধন রায়ের। ২০০১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন হরধন। ৫৯ আর্টিলারি রেজিমেন্টের হাবিলদার ছিলেন তিনি।
এত দিন উরির কথা পরিবার জেনেছিল কাগজে জঙ্গি হামলার কথা পড়ে, বলিউডের বীরগাথা থেকে। ঘরের ছেলে সেই উরিতে যাওয়ার খবরে বুক কেঁপেছিল ধুবুড়ি জেলার সাপটগ্রামের রায় পরিবারের। কাঁপবে নাই বা কেন! ফুটুকিবাড়ি-মেধিপাড়া গ্রামের বাড়িতে আছেন শয্যাশায়ী বাবা, বৃদ্ধা মা, তিন বোন। বড় বোনের বিয়ের কথা চলছে। চার বছর আগে বিয়ে হওয়া হরধনই কার্যত পরিবারের মাথা, একমাত্র রোজগেরে সদস্য। দু’বছরের ছেলেটা বাবাকে কত টুকুই বা কাছে পেয়েছে?
পাকিস্তানের মর্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত ছেলের দেহ আগামী কাল এসে পৌঁছবে অসমে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল নিহত জওয়ানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের নির্দেশ দিয়েছেন। হরধনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীশ মুখী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy