জওহরলাল নেহরু। —ফাইল চিত্র।
নেহরু বনাম আরএসএস।
লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও সংবিধানের পঁচাত্তর বছরের যাত্রা নিয়ে আলোচনায় ‘নেহরু বনাম আরএসএস’-ই প্রধান বিষয় হয়ে উঠল। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অভিযোগ তুললেন, গান্ধী পরিবারের স্বার্থে কংগ্রেস সরকার সংবিধানে সংশোধন করেছে। যার সূচনা করেছিলেন জওহরলাল নেহরু। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই নেহরু সংবিধানে প্রথম সংশোধন করে বাগস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছিলেন।
জবাবে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের কটাক্ষ, অর্থমন্ত্রী তাঁর থেকে অনেক বেশি জানেন। কারণ, তিনি পুরসভার স্কুলে পড়েছেন আর অর্থমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তবে ইংরেজি ভাল হলেও তাঁর কীর্তিকলাপ ভাল নয়। লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেন, ১৯৫১ সালে সংবিধানে প্রথম সংশোধন করে নেহরু বাগস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন। সীতারামনও বলেন, নেহরুর সমালোচনা করায় গীতিকার মজরু সুলতানপুরী ও অভিনেতা বলরাজ সাহনিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জবাবে খড়্গে বলেন, নেহরুকে সর্দার বল্লভভাই পটেল সংবিধান সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। আরএসএসের উস্কানি বন্ধ করতে, দলিত, আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষণ, জমিদারি প্রথার বিলোপের জন্য সংশোধন হয়েছিল। খড়্গের অভিযোগ, মোদী অসত্য বলায় পয়লা নম্বরে। আরএসএস সংবিধান মানতে চায়নি। কারণ, তা মনুস্মৃতি নির্ভর নয়। তারা জাতীয় পতাকা, অশোক চক্র, সংবিধানকে ঘৃণা করত। সংবিধান গৃহীত হওয়ার পরে বাবাসাহেব অম্বেডকর, মহাত্মা গান্ধী, নেহরুর কুশপুতুল পুড়িয়েছিল।
নির্মলা অভিযোগ তুলেছেন, কংগ্রেস সংবিধানের প্রস্তাবনায় সমাজবাদ ঢোকালেও দেশের লাভ হয়নি। অম্বেডকর কোনও মতাদর্শে দেশবাসীকে বাঁধার বিরুদ্ধে ছিলেন। খড়্গে জবাবে বলেন, বিজেপির মোদী-ভক্তি দেশকে একনায়কতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জবাবি বক্তৃতা করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy