Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
RSS

‘নেহরু থেকে শাহরুখ, সবাই চিনের দালাল!’

সঙ্ঘের মুখপত্রের সাম্প্রতিক কয়েকটি সংখ্যাতেই ‘চিন-প্রেমী’ বাছাই করে তোপ দাগা চলছে। বিজেপি সরকার তাওয়াংয়ের ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়ার পরে সর্বশেষ সংখ্যায় এই প্রচেষ্টায় বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ করা হয়েছে, জওহরলাল নেহরুও চিনের প্রতি দুর্বল ছিলেন।

অভিযোগ করা হয়েছে, জওহরলাল নেহরুও চিনের প্রতি দুর্বল ছিলেন। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৪৮
Share: Save:

লাদাখের পরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে চিনা অনুপ্রবেশ মোকাবিলা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলেছেন, চিনা সেনাদের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর বহু বিজ্ঞাপিত ৫৬ ইঞ্চির ছাতির বড়াই চুপসে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর মুখপত্রে অভিযোগ আনা হয়েছে, ভারতে চিনের সাংস্কৃতিক প্রভাব বাড়ানোর জন্য দায়ী রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক-ছাত্র এবং চিনা অনুদান পাওয়া কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর দায়ী শাহরুখ খান, আমির খান, কবির খানের মতো অভিনেতা, যাঁরা চিন সরকারের আমন্ত্রণে বেজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির ছিলেন। অভিযোগ করা হয়েছে, জওহরলাল নেহরুও চিনের প্রতি দুর্বল ছিলেন।

সঙ্ঘের মুখপত্রের সাম্প্রতিক কয়েকটি সংখ্যাতেই ‘চিন-প্রেমী’ বাছাই করে তোপ দাগা চলছে। বিজেপি সরকার তাওয়াংয়ের ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়ার পরে সর্বশেষ সংখ্যায় এই প্রচেষ্টায় বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ঘটনায় চিন ও তার শাসক চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বয়ানটি ভারতে প্রচার করার জন্য বেজিং টাকা ছাড়ায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের মতো বেসরকারি সংগঠন ২০০৫ সালে চিনের টাকা নিয়ে এখনও এই কাজ করে চলেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সঙ্ঘের মুখপত্রে। নাম করা হয়েছে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু থেকে তাঁর নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়টিরও। অভিযোগ করা হয়েছে, চিনের বিষয়ে নেহরু অকারণ নরম মনোভাব নিয়ে চলতেন, যার সুযোগ নিয়েছে বেজিং। এ দেশের কমিউনিস্ট নেতাদেরও দেশে চিনা প্রভাব ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হয়েছে সঙ্ঘের মুখপত্রে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্ররা ছাড়া অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থের বিনিময়ে চিনা মতবাদ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সঙ্ঘের মুখপত্রের প্রধান প্রতিবেদনের লেখক ‘হিমালয়ান এশিয়ান স্টাডিজ় অ্যান্ড এনগেজমেন্ট’-এর চেয়ারম্যান বিজয ক্রান্তির। এই ঘটনাকে চিনের ‘বৌদ্ধিক অনুপ্রবেশ’ বলে বর্ণনা করেছেন ক্রান্তি।

অর্থের বিনিময়ে মুম্বইয়ের চলচ্চিত্র সাম্রাজ্যেও চিন প্রভাব বিস্তার করেছে অভিযোগ করে শাহরুখ খান, আমির খান, কবির খানের মতো ধর্মীয় সংখ্যালঘু অভিনেতাদের চিহ্নিত করেছে সঙ্ঘের মুখপত্র। বেজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আতিথ্য দিয়ে চিন তাঁদের বশ করে ফেলে নিজেদের ধারায় চালিত করছে বলে দাবি সঙ্ঘ-মুখপত্রের লেখকের। তাঁর অভিমত, কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতেই শি জিনপিং সরকার ভারতের সীমান্ত ডিঙিয়ে অনুপ্রবেশের কৌশল নিচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

RSS India-China Border Conflict Ladakh Tawang
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy