Advertisement
০২ অক্টোবর ২০২৪
Prashant Kishor

দলের মুখ হলেন প্রাক্তন কূটনীতিক মনোজ ভারতী, পথ চলা শুরু প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টির

২০২২ সালে গান্ধীজয়ন্তীর দিন থেকেই শুরু হয়েছিল ভোটকুশলী প্রশান্তের ‘জন সুরাজ’ উদ্যোগের প্রাথমিক পর্যায়ের যাত্রা। দু’বছর পর সেই একই দিনে পটনায় রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করল ‘জন সুরাজ’।

প্রশান্ত কিশোর।

প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:১২
Share: Save:

ঘোষণা করেছিলেন আগেই। দিনক্ষণও জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেই মতো বুধবার গান্ধীজয়ন্তীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করল প্রশান্ত কিশোরের রাজনৈতিক দল ‘জন সুরাজ’। বিহারের রাজনীতিতে ‘জন সুরাজ’ একেবারে নতুন নাম নয়। গত দু’বছর ধরে বিহারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ‘জন সুরাজ’ উদ্যোগ। প্রান্তিক মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের মতো বিষয়গুলি নিয়ে সরকারের উপর চাপ তৈরির উদ্দেশে শুরু হয়েছিল এটি। ২০২২ সালে গান্ধীজয়ন্তীর দিন থেকেই শুরু হয়েছিল ভোটকুশলী প্রশান্তের ‘জন সুরাজ’ উদ্যোগের প্রাথমিক পর্যায়ের যাত্রা। দু’বছর পর সেই একই দিনে পটনায় রাজনৈতিক দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করল ‘জন সুরাজ’।

আগামী বছরেই বিহারে বিধানসভা ভোট রয়েছে। আগামী বিধানসভা ভোটে বিহারের সব ক’টি আসনে লড়াইয়ের লক্ষ্য নিয়েছে ‘জন সুরাজ’। দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে কে কোন দায়িত্বে থাকবেন, সেই বিষয়টির সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। প্রশান্তের হাতে এই দল তৈরি হলেও, দলের সাংগঠনিক নেতৃত্বের দায়িত্বে তিনি না-ও থাকতে পারেন। অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক মনোজ ভারতীকে করা হয়েছে দলের কার্যকরী সভাপতি। মধুবনী থেকে উঠে আসা দলিত মুখকেই আপাতত দলের সামনে থেকে নেতৃত্বে রাখতে চাইছেন প্রশান্ত। আগামী বছরের মার্চে দলের নতুন সভাপতি বেছে নেওয়া হবে। তার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন মনোজই।

দলের কার্যকরী সভাপতি হিসাবে মনোজের নাম ঘোষণার সময় প্রশান্ত বলেন, “যখন আমি বলেছিলাম আমি কোনও নেতা হতে চাই না, তখন সাধারণ মানুষ আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন আমার মতো কর্মক্ষম কাউকে তাঁরা কোথায় পাবেন। মনোজ ভারতী আমাদের থেকে অনেক বেশি কর্মক্ষম। তিনি আইআইটিতে গিয়েছিলেন, আমি যাইনি। তিনি আইএফএস আধিকারিক হয়েছেন, আমি হইনি।”

প্রসঙ্গত, গত রবিবারই প্রশান্ত বলেছিলেন ‘‘আমি কখনওই নেতা ছিলাম না। নেতা হতেও চাই না। এখন সময় এসেছে জনগণের নেতৃত্ব দেওয়ার।’’ দল নিয়ে আশাবাদী প্রশান্ত। দলের তিনটি প্রাথমিক উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে বিহারের প্রতিটি গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা, ভয় দেখিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করার রীতিতে বদল আনা এবং বিহারকে দেশের সেরা ১০ রাজ্যের মধ্যে স্থান দেওয়া। ক্ষমতায় এলে এক ঘণ্টার মধ্যে বদল আনবেন মদ নিষেধাজ্ঞায়, দলের আত্মপ্রকাশের আগে থেকেই এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রশান্ত। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, বিহারে ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২০টি আসনও পাবে না নীতীশ কুমারের দল! নিজের সংগঠন ‘জন সুরাজ’ নিয়ে এতটাই আত্মবিশ্বাসী প্রশান্ত ওরফে পিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Prashant Kishor Bihar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE