পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের হত্যালীলায় ২৫ পর্যটক এবং এক স্থানীয়ের মৃত্যুর জন্য নিজের ব্যর্থতার কথা মেনে নিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় এক দিনের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। এ দিন বিধানসভায় পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে নিন্দাপ্রস্তাব পাশ হয়। বিধানসভায় বক্তৃতার সময়ে পর্যটকদের নিরাপদে বাড়ি ফেরাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ওমর। বস্তুত, কেন্দ্রীয় সরকার বা জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের মধ্যে এই প্রথম প্রথম সারির কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি প্রকাশ্যে ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করলেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে সরাসরি ওমরের সরকারের কোনও যোগ নেই। সেনা এবং আধাসেনা বাহিনী যথাক্রমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ। জম্মু ও কাশ্মীর বর্তমানে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। ফলে সেখানকার পুলিশি ব্যবস্থাও লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অধীনে থাকে। সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদন অনুসারে, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর সংসদ ভবনে সর্বদল বৈঠকে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতির কথা স্বীকার করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে কেন্দ্রের তরফে ব্যর্থতার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্যের কথা জানা যায়নি।
সোমবার জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ওমর বলেন, “এই ঘটনা গোটা দেশকে প্রভাবিত করেছে। আমরা অতীতেও অনেক হামলা দেখেছি। কিন্তু এমন বড় মাপের হামলা গত ২১ বছরে দেখা যায়নি বৈসরনে। আমি জানি না মৃতদের পরিবারের কাছে কী ভাবে ক্ষমা চাইব। আয়োজক হিসাবে পর্যটকদের নিরাপদে বাড়ি ফেরানো আমার কর্তব্য ছিল। কিন্তু আমি পারিনি। ক্ষমা চাওয়ার কোনও ভাষা আমার কাছে নেই।” বস্তুত, গত মঙ্গলবার পর্যটকদের উপর যখন জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিলেন, তখন এক স্থানীয় সহিস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। সৈয়দ আদিল নামে ওই সহিসের কথাও সোমবার বিধানসভায় তুলে ধরেন ওমর। তিনি বলেন, “আদিল নিজের জীবনের কথা না-ভেবে অনেক পর্যটকের প্রাণ রক্ষা করেছেন। পালিয়ে যাওয়ার বদলে তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে পর্যটকদের রক্ষা করতে নিজের প্রাণ দিয়েছেন।” অন্য সহিস এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা যে ভাবে পর্যটকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সে কথাও বিধানসভায় তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন:
জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে অন্যতম দাবি ছিল, পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা। ভোটের পরে ক্ষমতায় আসার পরবর্তী সময়েও এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করেছেন ওমর। তবে পহেলগাঁও কাণ্ডের নিন্দায় বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে ওমর জানান, ২৬ জনের লাশের উপর দাঁড়িয়ে তাঁরা পূর্ণ রাজ্যের দাবি তুলবেন না। এই অবস্থায় রাজ্যের দাবি নিয়ে তাঁরা কোনও রাজনীতি করবেন না বলে জানান ওমর।
- সংঘর্ষবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান। গত ১০ মে প্রথম এই বিষয় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে দুই দেশের সরকারের তরফেও সংঘর্ষবিরতির কথা জানানো হয়।
- সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরেও ১০ মে রাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। তবে ১১ মে সকাল থেকে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী এলাকার ছবি পাল্টেছে।
-
২০:৫৮
‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরুর আগে পাকিস্তানকে কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি! বিদেশ মন্ত্রক স্পষ্ট করল জয়শঙ্কর-মন্তব্যের ব্যাখ্যা -
১৮:৩৪
তেরঙা পতাকায় মোড়া কফিনবন্দি দেহ, হরিয়ানার বাড়িতে শেষ বার ফিরলেন ল্যান্সনায়েক মনোজ -
১৬:০৩
বিপদের ‘বন্ধু’র সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা! ভারতীয় সরঞ্জামে ফৌজি ড্রোন বানিয়ে পাক সেনাকে সরবরাহ তুরস্কের? -
১৩:৪৭
‘সিঁদুর’ অভিযানের বার্তা দিতে দেশে দেশে ঘুরবে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল, নেতৃত্বে কারা? সাত নাম প্রকাশ করল কেন্দ্র -
১৩:৩৬
ভারত-পাক সম্পর্কের মেরামতিতে আমেরিকার সঙ্গে কাজ করছি আমরাও! এ বার দাবি ব্রিটেনের