ছবি: পিটিআই।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ই তাদের বদনাম করার চেষ্টা রুখে দিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করলেন শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।
গাঁধীজির চিন্তাধারা সম্পর্কে মঙ্গলবার জামিয়া আয়োজিত আলোচনাসভায় ভিডিয়ো-বক্তৃতায় নিশঙ্ক বলেন, “গাঁধীজির আদর্শে তৈরি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে নিয়মিত খুঁটিয়ে খবর নিই। যে ভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা (ইউপিএসসির মতো পরীক্ষা দিয়ে) প্রশাসনে যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত বিষয়— বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাল ফল করছেন, তাতে আমি গর্বিত।” নিশঙ্ক নিশ্চিত, আগামী দিনেও এই প্রতিষ্ঠান চলবে গাঁধীজির আদর্শ, দর্শন, ভাবধারা বুকে ধরেই। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “কিছু লোক জামিয়াকে বদনাম করার কাজ করতেই পারেন। কিন্তু জামিয়াই তাঁদের মুখোশ টেনে খুলে দেবে।” যে ‘উন্নত, নতুন ভারত’ তৈরির স্বপ্ন দেখা হচ্ছে, জামিয়া তার অন্যতম কারিগর হবে বলেও তাঁর দাবি।
কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরে প্রতিবাদী পড়ুয়াদের একাংশের প্রশ্ন, এমন উজ্জ্বল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে তা হলে পুলিশি বর্বরতা কী ভাবে মেনে নিয়েছিল সরকার? কেন ক্যাম্পাসে চড়াও হতে দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে? সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের সময়ে যে ভাবে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গায়ে বিভিন্ন মহল থেকে দেশবিরোধীর তকমা সেঁটে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, তারই বা যৌক্তিকতা কোথায়? শাসক শিবিরের লোকেরাই কি জামিয়াকে বদনাম করতে চাননি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy