উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং রাহুল গান্ধী। ফাইল চিত্র।
সাম্প্রতিক ব্রিটেন সফরে করা মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নাম না-করে তীব্র আক্রমণ করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। যদিও বিরোধীদের প্রশ্ন, উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের যেখানে নিরপেক্ষ থাকার কথা, সেখানে কেন তিনি রাজনৈতিক আক্রমণে নামলেন?
ব্রিটিশ এমপি-দের সঙ্গে এক আলোচনাচক্রে রাহুল অভিযোগ তুলেছিলেন, লোকসভায় বিরোধীদের মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ কংগ্রেসেরই প্রবীণ নেতা কর্ণ সিংহের বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে ধনখড় বলেছেন, ‘‘বিদেশে গিয়ে এক জন সাংসদের এমন ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্যের পরেও চুপ করে থাকলে আমি সংবিধানের প্রতি অবিচার করতাম। সংসদে মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়, এমন বিবৃতি কেন আমি অনুমোদন করব? কী ভাবে তিনি এই কথা বলার সাহস পেলেন? ৫০ মিনিট ধরে বক্তৃতা দেওয়ার পরেও কেউ এটা বলছেন। আমাদের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে খর্ব করার এমন দুঃসাহস অসমর্থনযোগ্য।’’ জরুরি অবস্থা আর ফিরবে না বলে কংগ্রেসকে খোঁচাও দিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘মন্তব্যের সময়টা লক্ষ্য করুন। ভারত যখন জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করছে, তখন দেশেরই কিছু মানুষ আমাদের এ ভাবে ছোট করছেন। আমাদের সংসদ এবং সংবিধানকে কালিমালিপ্ত করার এমন প্রয়াসকে উপেক্ষা করা যায় না। বিষয়টি গুরুতর।’’
কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালের যদিও দাবি, বিরোধীদের মাইক্রোফোন নিয়মিতই বন্ধ করা হয়। আদানি-প্রসঙ্গে রাহুলেরই মন্তব্য লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ গিয়েছিল। আর এক নেতা জয়রাম রমেশের মতে, চেয়ারম্যানের ভূমিকাটি আম্পায়ারের, শাসক পক্ষের মনোরঞ্জনকারীর নয়। ধনখড় যদিও ওই বক্তৃতাতেই বলেছেন, ‘‘আমি রাজনীতির মানুষ নই। কিন্তু সাংবিধানিক কর্তব্যে বিশ্বাসী। আমি চুপ থাকলে দেশের প্রতি বিশ্বাস রাখা বহু মানুষ চিরদিনের মতো ভাষা হারিয়ে ফেলবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy