জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে নকল করার ঘটনাকে সামনে রেখে বৃহত্তর প্রচারের কৌশল নিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তৈরি করা হচ্ছে জাঠ আবেগ। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, গোটা বিষয়টির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই, অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ার তিন দিন পরেও ধনখড় আজও সরব। আজ তাঁর সরকারি বাসভবনে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল সার্ভিস-এর নতুন অফিসারদের বক্তৃতার সময়েও ব্যক্তিগত অপমানের প্রসঙ্গ তুলতে দেখা গিয়েছে ধনখড়কে। তাঁর কথায়, “আমি এক জন ভুক্তভোগী। এক জন ভুক্তভোগীই জানে কী ভাবে সব কিছু সহ্য করে নিয়ে মুখের উপর জবাব দিতে হয়। সমস্ত অপমান হজম করতে হয়। সামনে রয়েছে শুধু একটাই দিগ্নির্দেশ— আমরা ভারত মাতার সেবায় নিয়োজিত।”
প্রসঙ্গটি ছিল, নতুন চাকরিপ্রাপ্তদের শেখানো কী ভাবে সমালোচনা সহ্য করতে হয়। ধনখড়ের কথায়, তিনি সাংবিধানিক পদে রয়েছেন, তবুও মানুষ তাঁকে ছাড়েনি। তাঁর মন্তব্য, “রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং দেশের উপরাষ্ট্রপতির মতো সাংবিধানিক পদমর্যাদা থাকা সত্ত্বেও লোকে আমায় ছাড়েনি! এর ফলে কী আমার মানসিকতার বদল ঘটেছে? তাতে কি আমার চলার পথ এঁকেবেঁকে গিয়েছে? না! ন্যায়ের পথে আমাদের সদাই সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হবে। আমাদের উন্নতি যাদের হজম হয় না, তারা যেন আমাদের পথভ্রষ্ট না করতে পারে। কারণ এই সব ব্যক্তির সমালোচনা করাটা বদভ্যাস হয়ে গিয়েছে।’’
কংগ্রেস শিবির মনে করছে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ধনখড়ের এই ‘সামনের দিকে এগিয়ে চলার’ ডাক যথেষ্ট তাৎপর্যপূণ। সামনে তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলেও আসলে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব তথা রাহুল গান্ধীকেই নিশানা করে
আক্রমণ করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই ধনখড়কে নকল কাণ্ডে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কল্যাণ ও রাহুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে সরব হয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, জাঠ সমাজের প্রতিনিধি ধনখড়কে সামনে রেখে ওই সমাজের হারানো জনসমর্থন ফিরে পেতেই বিজেপি বিষয়টি নিয়ে এ ভাবে মাত্রাতিরিক্ত প্রচারের কৌশল নিয়েছে বলে মত কংগ্রেসের।
পাশাপাশি সাংসদ সাসপেনশনের ঘটনায় রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের সঙ্গে বৈঠকের ডাক দিলেও গোটা ঘটনায় বিরোধী সাংসদদের আচরণের দিকেই বার বার আঙুল তুলেছেন ধনখড়। আবার চেয়ারম্যানের আলোচনার আবেদনকে বিরোধী দলনেতা বেনজির ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন বলেও খড়্গেকে দেওয়া শনিবারের চিঠিতে অভিযোগ করেছেন ধনখড়। সাংসদদের সাসপেনশনের বিষয়ে চিঠিতে আরও বলা হয়েছে,
সংসদীয় রীতি-নীতি অনুযায়ী বিরোধীদের বিক্ষোভ রুখতে সব রকম পদক্ষেপ করে ফেলার পরই বিক্ষোভকারী সাংসদদের সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। অর্থাৎ সাসপেনশনের জন্য সাংসদদের অসংসদীয় আচরণকেই চিঠিতে দায়ী করেছেন ধনখড়। বিরোধীদের বিক্ষোভকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের চিঠিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy