নয়াদিল্লি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন পূর্ব দিল্লির বাসিন্দা রমেশ কুমার। তিনিও কুম্ভে যাচ্ছিলেন। কিন্তু যাওয়ার আগে যে এই ভয়ঙ্কর ঘটনার মুখে পড়তে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি। তবে এ যাত্রায় যে বেঁচে গিয়েছেন, তার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন রমেশ। নিজেকে বাঁচিয়ে সরে যাননি, অন্যদের জীবনরক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি।
রমেশের কথায়, ‘‘এখনও দুঃস্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। স্টেশনে অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ বিপুল জনতার স্রোত ওভারব্রিজ থেকে নেমে এল। তার পরই চিৎকার। অনেকে স্টেশনের বাইরে দিকে বার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। চোখের সামনে এক এক করে কত জনকে ভিড়ের নীচে পড়তে দেখলাম। আর আর্তনাদে ভরে উঠেছিল প্ল্যাটফর্ম চত্বর।’’ রমেশ আরও বলেন, ‘‘কয়েক মিনিটের জন্য স্টেশনের ছবি একেবারে বদলে গিয়েছিল। ভিড় বদলে গিয়েছিল চিৎকার, হুড়োহুড়ি আর আর্তনাদে। চোখ বন্ধ করলে এখনও সেই আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছি।’’
রমেশ আরও জানিয়েছেন, অনেককেই ভিড়ের নীচ থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু যে কয়েক জনকে পেরেছেন উদ্ধার করেছেন বলে দাবি পূর্ব দিল্লির এই যুবকের। আরও এক যাত্রী আনন্দ কুমার এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভিড়ের চাপে তিনি ট্রেনে উঠতে পারেননি। চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল স্টেশন চত্বরে। তাঁর কথায়, ‘‘ভিড়ের চাপে মানুষ মানুষের ঘাড়ের উপর পড়ছিলেন। সেই ধাক্কাতে অনেক আবার নীচে পড়ে যান। ভিড় ঠেলে আবার ওঠার সুযোগই ছিল না। ফলে পায়ের নীচে চাপা পড়ে যান অনেকেই। বেশির ভাগই শিশু এবং মহিলা।”
শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৮। আহত অনেকে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে রেলপুলিশও।