ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি। ফাইল চিত্র।
নির্বাচন যদিও দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি বেছে নেওয়ার, কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের চোখ চব্বিশের লোকসভা ভোটের দিকে। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, রামনাথ কোবিন্দের পর এ বার কোনও আদিবাসী প্রার্থীকে দাঁড় করানোর কথা ভাবছে মোদী সরকার। সেই আদিবাসী যদি মহিলা হন, তা হলে আরও ভাল।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিরোধী শিবিরে তেমন সক্রিয়তা শুরু না হলেও আটঘাট বেঁধে তৈরি হচ্ছে বিজেপি। এই নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে আসন্ন গুজরাত ও অন্যান্য রাজ্যে নির্বাচন এবং লোকসভা ভোটে বার্তা দেওয়া যায়, তা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক পর্যালোচনা। ইতিমধ্যেই বিজেডি নেতা তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগন্মোহন রেড্ডি দেখা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, বিজেপি এক তিরে বহু নিশানা বিদ্ধ করতে চাইছে। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সরাসরি সংখ্যাধিক্য রয়েছে ৬২টি আসনে। ৪৭টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে তফসিলি জনজাতিদের জন্য।
এই বছরে গুজরাত এবং আগামী বছরে মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে ভোট। সেখানেও আদিবাসী ভোট নির্ণায়ক ভূমিকায়। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, গুজরাতে দীর্ঘদিন শাসন করলেও সেখানকার আদিবাসী সমাজের মন এখনও জয় করতে পারেনি বিজেপি। সে রাজ্যের ১৮২টি আসনের মধ্যে ২৭টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে। বিজেপি ২০০৭ সালে তার মধ্যে পেয়েছে ১৩টি, ২০১২ সালে ১১টি, এবং ২০১৭ সালে মাত্র ৯টি আসন। রাজ্যের মোট ১৪ শতাংশ আদিবাসী ভোট অন্তত ৬০টি আসনের ফলাফলে শেষ কথা বলে।
একই ভাবে ঝাড়খণ্ডের মোট ৮১টি আসনের মধ্যে ২৮টি আসন সংরক্ষিত, যেখানে বিজেপি গত নির্বাচনে পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। মধ্যপ্রদেশেরও একই হাল। সেখানে ৮৪টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বিজেপি ২০১৮ সালে পায় ৩৪টি। লক্ষণীয়, গত পনেরো বছরে আদিবাসীদের মধ্যে এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট কমেছে। ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্রের ভোটেও আদিবাসী সমাজ বড় ভূমিকা নিতে চলেছে বলেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান।
রাজনৈতিক সূত্রের মতে, এই সব হিসেব মাথায় রেখে যে নামগুলি নিয়ে বিজেপি নাড়াচাড়া করছে, সেই তালিকায় রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু, ছত্তীসগঢ়ের রাজ্যপাল ওড়িশার বাসিন্দা অনসূয়া মুর্মু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা এবং জুয়েল ওঁরাও। উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুও গোড়ায় দৌড়ে ছিলেন, কিন্তু আপাতত তাঁর আর কোনও আশা নেই বলেই মনে করছে রাজনৈতিক সূত্র। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এ বার পূর্ণচ্ছেদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওড়িশার বাসিন্দা দ্রৌপদীকে প্রার্থী করা হলে ওই রাজ্যের শাসক দল বিজেডি-র সমর্থন পাওয়া কার্যত নিশ্চিত বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতারা। দৌড়ে রয়েছেন তেলঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দর্যরাজনও। তামিলনাড়ুর ওই প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীকে প্রার্থী করা হলে এডিএমকে তথা দক্ষিণের দলগুলি সমর্থনে এগিয়ে আসবেন বলে আশা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy