চণ্ডীগড় আদালতের ভিতরের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
চণ্ডীগড় আদালতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু আমলার। শনিবার বিকেলে চণ্ডীগড়ের এক পারিবারিক আদালতে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম হরপ্রীত সিংহ। তিনি এক জন আইআরএস অফিসার। তিনি সেচ দফতরে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ ওই আমলার শ্বশুরই গুলি চালিয়েছেন। অভিযুক্তের নাম মলবিন্দর সিংহ সিধু। তিনি আবার পঞ্জাব পুলিশের সহকারী ইনস্পেক্টর জেনারেল পদে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে চাকরি থেকে নিলম্বিত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জামাইকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। তার মধ্যে দু’টি গুলি গিয়ে লাগে হরপ্রীতের গায়ে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আমলার।
কিন্তু কেন হঠাৎ আমলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালেন তাঁর শ্বশুর? এখনও পর্যন্ত যা খবর, ওই আমলার সঙ্গে তাঁর শ্বশুরের একটি পারিবারিক বিবাদ চলছিল। সেই নিয়েই মামলা চলছিল আদালতে। শনিবার মামলা সংক্রান্ত কাজের জন্যই চণ্ডীগড় আদালতে গিয়েছিলেন দুই পক্ষ। সূত্রের খবর, দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার পর্ব চলছিল। সেই সময়েই মলবিন্দর ও হরপ্রীত উভয়েই শৌচালয়ে প্রবেশ করেন। কিছু ক্ষণ পর শৌচালয় থেকে বাইরে আসতেই হরপ্রীতকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি চালান তাঁর শ্বশুর। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন হরপ্রীত। ঘটনাস্থলের যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে রক্তাক্ত হরপ্রীতের পাশে থাকা এক ব্যক্তিকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে দেখা যায় (আনন্দবাজার অনলাইন অবশ্য সে ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আদালতে গুলি চলার ঘটনার পর আইনজীবীরা অভিযুক্ত শ্বশুরকে ধরে ফেলেন। তাঁকে আদালতের মধ্যেই একটি ঘরে বন্দি করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আদালতে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে আটক করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy