Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Heroin

Heroin Seize: তালিবান-পাক যোগ? গুজরাতে বাজেয়াপ্ত মাদক ‘হিমশৈলের চূড়া’ মাত্র, দাবি গোয়েন্দাদের

চালানে আফগানিস্তানের নিমরোজ প্রদেশের নাম লেখা থাকলেও আদৌ সেখানে কোনও পাউডার উৎপাদন হয় না বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

মুন্দ্রা বন্দর। এই বন্দর থেকেই ২০ হাজার কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হয়। ফাইল চিত্র।

মুন্দ্রা বন্দর। এই বন্দর থেকেই ২০ হাজার কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত হয়। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:২৫
Share: Save:

গুজরাতে আদানিদের বন্দরে ২০ হাজার কোটি টাকার মাদক আসার ঘটনার শিকড় অনেক গভীরে বিস্তৃত। এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। এই ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে যে দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা ‘হিমশৈলের চূড়া’ মাত্র। দাবি গোয়েন্দাদের। ওই দম্পতিকে সামনে রেখে অন্তরালে বিশাল বড় চক্র সক্রিয় বলে ধারণা তাঁদের।

বিজয়ওয়াড়ার দম্পতি সুধাকর এবং বৈশালী গোবিন্দরাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, যে কন্টেনার দু’টিতে মাদক এসেছিল তার জন্য দম্পতিকে কন্টেনার পিছু ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। আশি ট্রেডিং কোম্পানি নামে যে সংস্থার নাম চালানের রসিদে ছিল তা বৈশালীর মা তারকা গোবিন্দরাজুর নামে।

কন্টেনারে পাউডারের নীচে লুকনো ছিল মাদক। পাউডারের কন্টেনার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল ওই কন্টেনার দু’টিকে। কিন্তু চালানে আফগানিস্তানের নিমরোজ প্রদেশের নাম লেখা থাকলেও আদৌ সেখানে কোনও পাউডার উৎপাদন হয় না বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন, এই গোটা ঘটনার পিছনে তালিবান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান যোগ রয়েছে। এ ধরনের আরও চালান আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, এটা এক ধরনের প্রক্রিয়া। কম স্পর্শকাতর পথ দিয়ে এই ধরনের মাদক চালানের চেষ্টা করে পাচারকারীরা। যাঁদের নামে চালান তৈরি হয়, হয়ত আদৌ তারাঁ জানতে পারেন না, কী রয়েছে তাতে। ফলে শুধু ওই সব সংস্থার লাইসেন্স ব্যবহার করে আড়ালে মাদক পাচারের প্রক্রিয়া চলতে থাকে, ধারণা তদন্তকারীদের।

আদানি গোষ্ঠীর বন্দরে বিপুল পরিমাণ মাদক ধরা পড়ায় তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল তার পরেও প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি চুপ কেন, প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী শামা মহম্মদ। তাঁর কথায়, ‘মুন্দ্রা বন্দর আদানিদের বলেই কি মোদী মুখে কুলুপ এঁটেছেন? বেসরকারি বন্দরগুলিতেও কড়া নজরদারি চালানো উচিত।’

আদানি গোষ্ঠী এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘দেশের কোনও বন্দরেই কন্টেনার পরীক্ষা করে দেখা হয় না। শুধু বন্দর পরিচালনা করাই তাদের কাজ। যে ভাবে আদানি গোষ্ঠীর নামে নেটমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’

অন্য বিষয়গুলি:

Heroin Gujarat Adani Group port
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy