ছবি: এএফপি।
চোখের অস্ত্রোপচার এবং ছর্রায় আহতদের চিকিৎসার জন্য সরঞ্জাম চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিপাকে পড়েছেন কাশ্মীরের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ তারিক কুরেশি। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তিনি শ্রী মহারাজা হরি সিংহ (এসএমএইচএস) মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিভাগের প্রধান। সূত্রের খবর, ছর্রায় আহতদের জন্য চিকিৎসার সরঞ্জাম চেয়ে চিঠি দেওয়ার জন্যই সরকারের সন্দেহের তালিকায় কুরেশি।
হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানিকে হত্যার পর উত্তপ্ত হয়েছিল উপত্যকা। সেই সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ছর্রা বুলেটে আহত হয়েছিলেন বহু কাশ্মীরি, মূলত অল্পবয়সিরা। ওই সময় প্রায় শতাধিক ছর্রা-আহতের চিকিৎসা করেছিলেন কুরেশি। এখনও এসএমএইচএস হাসপাতালে ছর্রায় আহতদের চিকিৎসা করেন তিনিই। গত কয়েক বছরে উপত্যকায় ছর্রায় আহত হয়ে অন্তত আটশো মানুষ আংশিক ভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি শ্রীনগরের গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের (জিএমসি) প্রিন্সিপাল-কে চিঠি লিখে ছর্রায় আহতদের চিকিৎসার সরঞ্জাম চেয়েছেন কুরেশি। ওই চিঠি ডিভিশনাল কমিশনারকে পাঠিয়ে দেন প্রিন্সিপাল। এর পরই ডিভিশনাল কমিশনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। কুরেশিকে ‘প্ররোচক’ আখ্যা দিয়ে তাঁর অতীত সম্পর্কে জানতে বলেছে প্রশাসন। তদন্ত করতে বলা হয়েছে, ওই চক্ষু বিশেষজ্ঞ হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও গোপনে ছর্রা-আহতদের চিকিৎসা করেন কি না।
কুরেশি অবশ্য বলেছেন, ‘‘এ সবে আমি ভয় পাচ্ছি না। আমার কাজ করে যাব। ছর্রায় আহত এবং অন্য রোগীদের চিকিৎসা আমি বন্ধ করব না।’’ এর মধ্যেই সরকার হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, আইনভঙ্গকারীরা নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত হলে, তাঁদের যেন মৃত্যুর শংসাপত্র না-দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy