Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Narendra Modi

সিএএ-র পরে দিল্লি, চাপ বাড়ছে মোদীর

মঙ্গলবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনার সিএএ-বিরোধী মামলায় আদালতবান্ধব হিসেবে শামিল হতে চেয়েছেন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২০ ০৩:১৭
Share: Save:

এক দিকে দিল্লির সাম্প্রতিক হিংসা। অন্য দিকে সিএএ-এনআরসি। আন্তর্জাতিক স্তরে বিষয়গুলি নিয়ে চাপ বাড়ছে ভারতের। পরিস্থিতি এমনই যে, প্রায় প্রতিদিনই একবার করে বিবৃতি দিতে হচ্ছে বিদেশ মন্ত্রককে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতা অথবা কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকেও বোঝাতে হচ্ছে নিজেদের অবস্থান। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেই সঙ্গে আজ নতুন করে চাপ বাড়িয়েছেন ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেনেই। টুইট করে দিল্লির হিংসার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।

মঙ্গলবারই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনার সিএএ-বিরোধী মামলায় আদালতবান্ধব হিসেবে শামিল হতে চেয়েছেন। এ নিয়ে আজ বিদেশ মন্ত্রককে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রকের মুখপাত্র গত কালের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে জানিয়েছেন, বিষয়টি একান্ত ভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ। অথচ দু’দিন আগেই সিএএ আইনের খসড়া ফাইলগুলি দেখতে চেয়ে তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইনের মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন এক সাংবাদিক। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সেগুলি দেখানো যাবে না, কারণ তাতে বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে। মন্ত্রক আজও দাবি করেছে যে, সিএএ প্রশ্নে কোনও তৃতীয় পক্ষের নাক গলানোর অধিকার নেই। কিন্তু ঘটনা হল, ইটালির এবং একবার স্পেনের মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত মামলায় এর আগে শামিল হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপূঞ্জের কথা শুনে সংশ্লিষ্ট সরকার পদক্ষেপও করেছে।

সিএএ-র পাশাপাশি দিল্লি হিংসা নিয়েও আন্তর্জাতিক স্তরে মুখ পুড়ছে মোদী সরকারের। আজ খোমেইনি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘ভারতে মুসলমানদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় গোটা বিশ্বের মুসলিম সমাজ শোকগ্রস্ত। ভারত সরকারের উচিত চরমপন্থী হিন্দুদের মোকাবিলা করা। ইসলামি দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হতে না চাইলে, ভারতের উচিত এই অত্যাচার বন্ধ করা।’’ এর আগে ইরানের বিদেশমন্ত্রীও ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন। নিন্দা এসেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এবং ব্রিটেনের বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকেও। আজ তার মোকাবিলা করতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার বলেছেন, ‘‘আমরা দেখেছি দিল্লির হিংসা নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করা হয়েছে। পরিস্থিতি খুব দ্রুত স্বাভাবিক হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শান্তি এবং সৌভ্রাতৃত্বের আবেদন করেছেন। এমন স্পর্শকাতর সময়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করার জন্যই আবেদন করা হচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আজগুবি ভাষ্যে যেন কেউ প্রভাবিত না হন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy