—ফাইল চিত্র
জাতপাতের হিংসা কমাতে অসবর্ণ বিবাহ-ই উপায়। শুক্রবার এক রায়ে এমনটাই জানাল শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কল-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়েছে, আগে যেখানে বিবাহের ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা ছিল ধর্ম এবং জাতের। এখন সে দিক থেকে অনেকটাই সরে আসছেন শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম। তাঁরা নিজেদের পছন্দমতো জীবনসঙ্গী বাছছেন। আর এই অসবর্ণ বিবাহই জাতপাতের হিংসা কমানোর কাজ করতে পারে।
সমাজের চিরাচরিত প্রথা থেকে সরে এসে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই ভিন জাতে বিয়ে করছেন। যার ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ওই যুগলদের পরিবার এবং সমাজের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এই তরুণ প্রজন্মের পাশে দাঁড়াতে কিন্তু এগিয়ে আসছে আদালত। বিচারপতি কল এমনটাই জানিয়েছেন। বি আর অম্বেডকরের ‘অ্যানিহিলেশন অব কাস্ট’ থেকে অসবর্ণ বিবাহ প্রসঙ্গে একটি উদ্ধৃতিও তুলে ধরেন বিচারপতি।
এ দিন এ প্রসঙ্গে একটি মামলার শুনানি ছিল। বেঙ্গালুরুর এক এমবিএ স্নাতক তরুণী পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে এক অধ্যাপককে বিয়ে করেন। তরুণীর পরিবার প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু পরে তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের মেয়ে ভিন জাতের এক অধ্যাপককে বিয়ে করেছেন। তরুণী আদালতের কাছে বিষয়টি জানান। তাঁদের বিয়ের শংসাপত্র হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। অভিযোগ, এর পরই তাঁদের শাসানির মুখে পড়তে হয়।
তরুণীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিক ওই তরুণীকে স্বামীর ঘর ছেড়ে থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ। তরুণীর দাবি, পুলিশকে তিনি জানিয়েছিলেন যে, নিজের ইচ্ছাতেই এবং আইনি মোতাবেক বিয়ে করেছেন। অভিযোগ, এর পরই পুলিশ ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করার হুমকি দেয়। এ দিন তদন্তকারী আধিকারিককেও তাঁর আচরণের জন্য ভর্ৎসনা করে আদালত। সেই সঙ্গে এই ধরনের সংবেদনশীল ঘটনাগুলোকে কী ভাবে সামলাতে হবে তার জন্য পুলিশকে একটা নির্দেশিকা তৈরি এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy