কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
২০১৯ সালের জুন মাস। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছিলেন শ্রীনগরে। তখনই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরিকল্পনায় শেষ তুলির টান লাগানোর কাজ চলছিল বলে জানালেন প্রাক্তন সেনাকর্তা কে জে এস ঢিলোঁ। তাঁর দাবি, শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সময়ে আলু পরোটা আর ধোকলা খাওয়ার পাশাপাশি এগিয়েছিল ইতিহাস লেখার কাজ।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিহত হলেন ৪০ জন সিআরপি জওয়ান। তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে সেনার ১৫ নম্বর কোরের প্রাক্তন কমান্ডার ঢিলোঁর আত্মজীবনী। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘‘২০১৯ সালের জুন মাসে শাহের সফরের পরে কোনও নাটকীয় ঘোষণা হতে পারে বলে নানা সূত্রে দাবি করা হচ্ছিল। ২৬ জুন রাত দুটোর সময়ে আমাকে ফোন করে সকাল সাতটার সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়।’’ ঢিলোঁ জানিয়েছেন, বৈঠকের সময়ে খাদ্যতালিকায় ছিল আলু পরোটা আর ধোকলা। যে ঘোষণা হতে চলেছে তার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেন শাহ। পাকিস্তান কী অবস্থান নিতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। ঢীলোঁর বক্তব্য, ‘‘আমি সম্পূর্ণ পেশাদারি দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলছি, পুরো ঘটনার রাশ ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে। তিনি পুরো বিষয়টি জানতেন। তা নিয়ে চর্চা করেছিলেন।’’ ঢিলোঁর কথায়, ‘‘বৈঠকের শেষে তিনি আমার ব্যক্তিগত মত জানতে চান। আমি বলি ইতিহাস লিখতে গেলে কাউকে না কাউকে ইতিহাস তৈরি করতে হবে।’’ ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ তথা সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ রদের কথা সংসদে ঘোষণা করেন শাহ। তার আগের রাত থেকেই স্থানীয় নেতাদের বন্দি করা, জম্মু-কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা জারির মতো পদক্ষেপ করতে শুরু করে সরকার।
ঢিলোঁর দাবি, পাকিস্তান থেকে চালানো অপপ্রচার রুখতেই ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy