— প্রতীকী চিত্র।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ত্রিপুরার অংশে নজরদারি দুর্বল হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’র কথা বললেও রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বাড়ছে।
আগরতলা রেলপুলিশ থানার অফিসার তাপস দাস জানান, গত অগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অনুপ্রবেশ এবং মানবপাচার সংক্রান্ত ২৯ এজাহার নথিভুক্ত করা হয়েছে। ওই সময়কালে ৩০ জন মানব পাচারকারী, ৯৮ জন বাংলাদেশি, ১০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি আরও জানান, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া এলাকা থেকে বিএসএফের সহযোগিতায় মানবপাচারে অভিযুক্ত হেমন্ত বিশ্বাস এবং রাজীব দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তারা অনেক দিন ধরে পলাতক ছিল। গত কাল ত্রিপুরার উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর থেকে এক জন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে অনেক দিন ধরে বাবুবাজার এলাকায় বসবাস করছিল। তার কাছ থেকে ভারতীয় পরিচয় পত্র উদ্ধার করা হয়। ত্রিপুরায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৮৫৬ কিলোমিটার অংশ রয়েছে। এই সীমান্ত পাহারার দায়িত্বে রয়েছে বিএসএফ। কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যক সীমান্তরক্ষী না থাকার ফলে নজরদারিতে ব্যাঘাত ঘটছে বলে বিএসএফ সূত্রের খবর। মণিপুর-সহ বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কয়েক ব্যাটেলিয়ন বিএসএফ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে আরও বিএসএফ চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন বলেন, ‘‘বর্তমানে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জন্য অনুপ্রবেশ বেড়ে গিয়েছে। অনুপ্রবেশকারীরা অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে ঢুকছে। যদিও পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী না থাকা সত্ত্বেও ত্রিপুরায় প্রায়ই অনুপ্রবেশকারী এবং মানব পাচারকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।’’ ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসকে অনুপ্রবেশ আটকানোর জন্য সীমান্তের এ পারের এলাকায় নজরদারি করতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy