(বাঁ দিকে) জয়সুখ পটেল। মোরবিতে সেতুর ভগ্নাবশেষ (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
গুজরাতের মোরবিতে সেতু বিপর্যয়কাণ্ডে অভিযুক্ত জয়সুখ পটেলকে বিশেষ সংবর্ধনা দিল পটীদার সম্প্রদায়। তিনি এখন জামিনে মুক্ত। মোরবি জেলাতেই জয়সুখকে দেওয়া হল সেই সম্মান। সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সেতু ভেঙে মৃতদের আত্মীয়পরিজন। পটীদার সম্প্রদায়ের তরফে দাবি করা হল, অজন্তা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতার পুত্র হিসাবেই বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে জয়সুখকে। কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়কের দাবি, তিনি ‘নির্দোষ’। ২০২২ সালে মোরবিতে ব্রিটিশ আমলে তৈরি সেতু নদীতে ভেঙে পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩৫ জন।
শুক্রবার মোরবির উপকণ্ঠে উমাশঙ্কর ধামে বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ উৎসব ছিল। আয়োজন করেছিল পটীদারদের একটি সংগঠন। সেখানে মোদক দিয়ে জয়সুখের ওজন মাপা হয়েছে। আয়োজকেরা জানিয়েছে, সেই মোদক ৬০ হাজার বাক্সে ভরে বিলি করা হয়েছে পটীদারদের। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মোরবিকাণ্ডে মৃতদের পরিজনেরা। ওই ঘটনায় ১০ বছরের মেয়েকে হারিয়েছিলেন নরেন্দ্র পারমার। সেই পারমার বলেন, ‘‘মোরবির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে এ ভাবে সম্মান দেওয়া হচ্ছে, যা দেখে আমাদের খুবই খারাপ লাগছে। কী করে ভুলব, ওই ঘটনায় আমি নিজের সন্তানকে হারিয়েছি।’’
২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর মোরবিতে ব্রিটিশ আমলের যে সেতু মাচ্চু নদীতে ভেঙে পড়েছিল, তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল জয়সুখের ওরেভা গোষ্ঠী। ওই ঘটনায় শিশু এবং মহিলা-সহ ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হন ৫৬ জন।
জয়সুখকে যে পটীদার সংগঠন সম্মানিত করেছে, তার সদস্য একে পটেল জানিয়েছেন, অভিযুক্তের বাবা এআর পটেলকে শ্রদ্ধা জানাতেই ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জয়সুখের বাবা ঘড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা অজন্তা তৈরি করেছিলেন। প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক ললিত কাগাথারার দাবি, জয়সুখের পরিবার পটীদার সমাজের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাই তাঁদের সংবর্ধনা দিয়ে কোনও ভুল করা হয়নি। তাঁর আরও দাবি, জয়সুখ ‘নির্দোষ’। ওই ঘটনার দায় তিনি মোরবির তৎকালীন জেলাশাসকের উপর চাপিয়েছেন।
মোরবির ঘটনায় জয়সুখ-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গুজরাত হাই কোর্ট জয়সুখের জামিনের আবেদন খারিজ করে। এর পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। চলতি বছর ২২ মার্চ জয়সুখকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে জামিনের শর্ত নির্ধারণ করতে বলে নিম্ন আদালতকে। বিচার চলাকালীন জয়সুখকে মোরবিতে ঢুকতে বারণ করে নিম্ন আদালত। সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy