সনিয়া গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেই পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, সেটিই হবে তাঁর শেষ ভোটলড়াই। জল্পনা ছড়িয়েছিল, রাজনীতি থেকে সনিয়া গান্ধী অবসর নেবেন কি না। শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভা থেকে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। রাজস্থান থেকে কংগ্রেস রাজ্যসভার প্রার্থী করল সনিয়াকে। বুধবার সকালে মনোনয়ন জমা দিতে জয়পুর যান সনিয়া। তাঁর জয়ের ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত কংগ্রেস। সংশ্লিষ্ট আসন থেকে রাজ্যসভার সাংসদ হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। আগামী এপ্রিলে তাঁর ছয় বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর সাংসদ সনিয়া এই প্রথম বার রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। বস্তুত, গান্ধী পরিবার থেকে সনিয়াই দ্বিতীয় সদস্য, যিনি রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। এর আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাজ্যসভার সাংসদ হন। ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন সনিয়ার শাশুড়ি।
সনিয়া প্রথম লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৯৯৯ সালে। ওই বছরই প্রথম বার কংগ্রেসের সভানেত্রী হন। বুধবার রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘আমরা শ্রদ্ধেয়া সনিয়া গান্ধীজিকে কংগ্রেস থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। উনি প্রধানমন্ত্রীর পদ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।’’ তিনি এ-ও লেখেন, এই ঘোষণার পর সারা রাজস্থানে খুশির হাওয়া বইছে। কিন্তু কেন রাজস্থানকেই বেছে নিলেন সনিয়া? তিনি তেলঙ্গানা বা কর্নাটক থেকেও প্রার্থী হতে পারতেন। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, উত্তর ভারতে ভরাডুবির মধ্যেও সনিয়াকে রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে কংগ্রেস আসলে বার্তা দিতে চাইল যে, হিন্দিবলয় তাদের হৃদয়ে রয়েছে। অন্য দিকে, সনিয়া রাজ্যসভায় যাওয়ায় রায়বরেলী আসন থেকে তাঁর কন্যা প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy