পোশাকি নাম, ‘অ্যাডভান্সড টাওড আর্টিলারি গান সিস্টেম’ (এটিএজিএস)। আদতে সামরিক উৎপাদন ক্ষেত্রে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ বা ডিআরডিও)-র তৈরি ১৫৫ মিলিমিটারের এই হাউইৎজারকে এ বার দেখা যাবে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে’। লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবস কর্মসূচিতে ভারতীয় সেনার ‘গান স্যালুটে’ ব্যবহৃত হবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই কামান।
প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার জানিয়েছেন, স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে এই প্রথম বার সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোনও কামান গান স্যালুটে ব্যবহৃত হচ্ছে। এত দিন ব্রিটিশ জমানার কামান প্রথা মেনে লালকেল্লায় ‘২১ বারের তোপধ্বনিতে’ ব্যবহার করা হত। তিনি জানান, ডিআরডিও-র পুণের ‘আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট’-এর একটি বিশেষ দল এই গান স্যালুট কর্মসূচি পরিচালনা করবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই হাউইৎজার কামান বিশ্বের অন্যতম সেরা। ভারতীয় সেনার আর্টিলারি (গোলন্দাজ) ডিভিশনগুলিকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তুলতে অদূর ভবিষ্যতেই কার্যকরী ভূমিকা নেবে এটিএজিএস। ৪৮ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম এই হাউইৎজারের গোলা।
পাশাপাশি, ‘অক্সিলারি পাওয়ার মোড’, স্বয়ংক্রিয় নির্দেশ এবং নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, ‘ওয়্যারলেস স্টেট অব দ্য আর্ট কমিউনিকেশন সিস্টেম’-ও রয়েছে এই দেশীয় কামানের প্রযুক্তিতে। তার মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন প্রতিটি এটিএজিএস বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযোগ এবং সমন্বয় বজায় রাখতে পারে। এমনকি, রাতের অন্ধকার ভেদ করে শত্রুপক্ষকে খুঁজে বার করার জন্য প্রয়োজনীয় ‘নাইট ভিশন’ প্রযুক্তিও রয়েছে এই কামানে।