ছবি- পিটিআই
দেশে টিকা ঘাটতি মেটাতে নয়া পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে কেন্দ্র। কোনও ব্যক্তিকে দু’টি ভিন্ন টিকা দিলে তাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে কি না, সে ব্যাপারেই গবেষণা চালাতে চাইছে কেন্দ্র, দাবি এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল সূত্রের। শুধু তাই নয়, করোনা প্রতিরোধে একটি টিকাই যথেষ্ট কি না, তা নিয়েও তৈরি হবে রিপোর্ট। এই সংক্রান্ত যাবতীয় গবেষণা, তথ্য বিশ্লেষণ এবং রিপোর্ট তৈরির কাজ মাস খানেকের মধ্যেই শুরু হবে এবং পরের দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যেই তা শেষ হবে।
সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই একটি অ্যাপ তৈরি করার কথা ভেবেছে কেন্দ্র, যেটি সরকারি ‘কো-উইন’ অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। প্রথম বার টিকা নেওয়ার পর কোনও ব্যক্তির শরীরে কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে, তাই নথিভুক্ত করা হবে ওই নতুন অ্যাপে। পরবর্তী কালে ওই তথ্যই বিশ্লেষণ করবেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেই অনুযায়ী হবে পদক্ষেপ। দেশে এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার মানুষকে দু’টি ভিন্ন টিকা দেওয়া হয়েছে, তবে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।
সম্প্রতি কোভিশিল্ডের দুই টিকার মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়েছে কেন্দ্র। সেই সিদ্ধান্ত কতটা কাজে দিয়েছে, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে। একেবারে শুরুতেই অক্সফোর্ডের তরফে জানানো হয়েছিল, তাদের টিকা (ভারতে যে টিকা কোভিশিল্ড নামে পরিচিত)-র একবার নিলেই কাজ হবে। পরে অবশ্য দু’টি টিকা নেওয়ার কথাই ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড যে পদ্ধতিতে টিকা প্রস্তুত করেছে, ওই একই পদ্ধতিতে টিকা তৈরি করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন এবং স্পুটনিক লাইট। সেই দুই সংস্থা জানিয়েছে, তাদের টিকা একবার নিলেই হবে। সে দিক দিয়ে কোভিশিল্ডের একটি টিকাতেই কাজ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি তা সম্ভব হয়, সে ক্ষেত্রে দেশে টিকার ঘাটতি অনেকটাই মেটানো সম্ভব হবে এবং অনেক কম সময়ে প্রচুর মানুষ টিকা দেওয়া যাবে বলে মত কেন্দ্রীয় সূত্রের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy