১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার ঠিক আগের দিন, মঙ্গলবার সংসদে জমা পড়বে আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, যে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) বৃদ্ধির হার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৬ শতাংশ থেকে ৬.৮ শতাংশ হতে পারে। ঘটনা পরম্পরা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকার জানাতে পারে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার (বেসলাইন সিনারিও) থাকতে পারে ৬.৫ শতাংশ। যা গত তিন বছরে সবচেয়ে কম।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে নমিনাল বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে ১১ শতাংশ। আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্টের মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গত এক বছরে অর্থনীতি কেমন চলেছে, তার গাণিতিক পরিসংখ্যানগত চিত্র তুলে ধরে। কোভিড অতিমারির পর ভারতের অর্থনীতি খানিকটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মুদ্রাস্ফীতির বিপুল চাপ বাড়িয়েছে। যা অতিমারির সময় গৃহীত ঢিলে আর্থিক নীতির রাস্তা থেকে সরে আসার কথা বলছে। তবে সমীক্ষা রিপোর্ট শ্লথ বৃদ্ধির কথা বললেও ৬.৫ শতাংশ বৃদ্ধি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা অর্থনীতিগুলির দৌড়ে রেখে দেবে ভারতকে। যদিও তা প্রস্তাবিত ৭ শতাংশের কম। গত বছর এই বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার, রাষ্ট্রপতির ভাষণ দিয়ে শুরু হবে সংসদের বাজেট অধিবেশন। যৌথ কক্ষতে রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে অর্থমন্ত্রী সংসদে পড়বেন আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট। তাতে চলতি বছর দেশের অর্থনীতির হাল কেমন গেল, তা বোঝা যাবে। তার পর ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হবে আগামী অর্থবর্ষের বাজেট। সমীক্ষা রিপোর্টটি তৈরি করেছেন মুখ্য অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ। প্রতিবেদনে প্রকাশ, আর্থিক সমীক্ষায় ভারতে কর্মসংস্থানের চিত্রের সামান্য উন্নতির কথা থাকতে পারে। তবে সামগ্রিক ভাবে কর্মসংস্থানের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথাও থাকতে পারে রিপোর্টে।
আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ) জানিয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি শ্লথতার শিকার হবে বলে তারা মনে করছে। আইএমএফের দাবি, ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধি হতে পারে ৬.১ শতাংশ। যা আগামী ৩১ মার্চ শেষ হতে চলা চলতি অর্থবর্ষের জন্য ছিল ৬.৮ শতাংশ।