—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নতুন বছরে রেলপথে জম্মু এবং দিল্লির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পার্বত্য কাশ্মীর। কিন্তু কড়া শীতের কাশ্মীরে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নামলে সমতল থেকে কাশ্মীরে ওঠা যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করতে চিন্তায় রেল কর্তৃপক্ষ।
সমতল এবং পাহাড়ের মধ্যে তাপমাত্রা মোটামুটি ৪০ ডিগ্রি থেকে -১০ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে বলে মনে করছেন রেল কর্তারা। এত ফারাক মাথায় রেখেই ট্রেনে প্রয়োজনীয় বদল আনতে হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে দিল্লি থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত একটি স্লিপার কোচ যুক্ত এক্সপ্রেস ট্রেন এবং জম্মু থেকে বারামুলার মধ্যে একটি আট কোচের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চেয়ারকার সংস্করণ চালানো ঠিক হয়েছে। দিল্লি থেকে শ্রীনগরের যাত্রাপথে স্লিপার ট্রেনে কেন্দ্রীয় ভাবে কামরায় গরম বাতাস পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। জম্মু থেকে বারামুলা পর্যন্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও ওই প্রযুক্তি থাকবে। দুটি ট্রেনেই হিমাঙ্কের নীচের তাপমাত্রা সামাল দিতে জলের পাইপ বিশেষ আস্তরণ দিয়ে মুড়ে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। সিলিকন ফাইবার ব্যবহার করে পাইপের জলকে বাইরের তাপমাত্রা থেকে মুক্ত রাখার কথা ভাবা হয়েছে। একই ব্যবস্থার সাহায্য নিতে হবে জৈব শৌচাগার বা বায়োটয়লেটের ক্ষেত্রেও।
বরফ পড়ার জন্য সারা দেশে একমাত্র কাশ্মীরেই রেললাইনের বরফ কাটার যন্ত্র এনে রাখতে হয়েছে। বছর তিনেক আগে আমেরিকা থেকে তিন কোটি টাকা খরচ করে গাড়ির আকারের যন্ত্র নিয়ে আসা হয়। এখন বারামুলা থেকে সঙ্গলদান পর্যন্ত পথে যে সব ডেমু (ডিজ়েল মোটর ইউনিট) ট্রেন চালানো হয় তার গঠনও সারা দেশের অন্য লোকাল ট্রেনের থেকে আলাদা। কাচের জানলায় মোড়া ওই সব ট্রেনে জেনারেটর চালিত ব্লোয়ার হিটার ব্যবহার করা হয়। বাইরের তাপমাত্রা যা-ই থাক ট্রেনের ভিতরের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির আশপাশেই থাকে। হিমাঙ্কের কাছাকাছি বা তার নীচের তাপমাত্রায় বায়োটয়লেট এবং জল সরবরাহের ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার দিকটি মাথায় রেখে এগোতে হচ্ছে রেল কর্তাদের। কাশ্মীরে নতুন আনা ইএমইউ ট্রেনগুলিতেও আবহাওয়ার মর্জি বুঝে রদবদল হচ্ছে।
উধমপুর-বারামুলা শ্রীনগর রেল লিঙ্ক প্রকল্পে উত্তরে কাশ্মীরের দিকের বারামুলা থেকে রিয়াসি পর্যন্ত রেলপথে ট্রেন চালানোর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ রয়েছে। দক্ষিণে জম্মুর দিকে কাটরা পর্যন্ত ট্রেন চলে। কাটরা থেকে রিয়াসির ১৭ কিলোমিটার পথেও ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি চলছে। রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের ছাড়পত্র মিললেই সম্পূর্ণ পথে ট্রেন চালানো যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy