রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।—ছবি পিটিআই।
রেল বাজেট মিশে গিয়েছে মূল বাজেটে। সংসদে অধিকাংশ মন্ত্রকের বরাদ্দ নিয়ে বির্তকের প্রথা প্রায় উঠে গেলেও এখনও রেল মন্ত্রকের বাজেট সংক্রান্ত বিতর্ক চালু রেখেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। গত কাল বেলা বারোটায় রেল নিয়ে লোকসভায় আলোচনা শুরু হয়। দিনভর বিতর্কের শেষে আলোচনা যখন থামে, তখন ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা পেরিয়ে গিয়েছে!
আজ প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে জবাবি বক্তৃতায় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল স্বীকার করে নেন, রেলের হাতে বাড়তি অর্থ নেই বললেই চলে। কর্মীদের সপ্তম বেতন কমিশনের বর্ধিত ভাতা ও পেনশন দিতে গিয়ে রেলের অপারেটিং রেশিও এখন প্রায় ৯৮ শতাংশ। অর্থাৎ একশো টাকা আয় করতে খরচ হচ্ছে ৯৮ টাকা। তবে রেল মন্ত্রক টাকার অভাবে প্রকল্প রূপায়ণে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে বলে বিরোধীরা যে অভিযোগ এনেচেন, তা অস্বীকার করে পীযূষ বলেন, ‘‘বেসরকারিকরণের কোনও প্রশ্নই নেই। রেল বেসরকারি হাতে যেতে পারে না। কিন্তু পরিষেবা বাড়াতে গেলে বিনিয়োগ প্রয়োজন। সেই কারণে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ (পিপিপি মডেল)-এর উপর জোর দেওয়া হয়েছে।’’ তবে কিছু ক্ষেত্রে বিলগ্নিকরণের বিষয়ে যে ভাবা হচ্ছে, তা-ও মেনে নিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
পীযূষ এ দিন জানান, রেলে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ জোর গতিতে চলছে। মূলত জোর দেওয়া হচ্ছে রেলের বুনিয়াদী পরিকাঠামো উন্নয়নে। রেল মন্ত্রকের মতে, গত কয়েক বছরে অধিকাংশ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হল লাইনে চিড় ধরা। তাই পরিকাঠামো খাতের বড় অংশই বরাদ্দ হয়েছে লাইন পাতার খাতে। নতুন লাইন পাতা, পুরনো লাইন পাল্টে ফেলার উপরে জোর দেওয়ার মতো খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৭,২২৫ কোটি টাকা। নতুন লাইন পাতার পিছনে আরেকটি যুক্তি হল, চলতি ব্যবস্থাতেই রাজধানী ও শতাব্দীর মতো ট্রেন যাতে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে, সেই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে রেল। পুরনো লাইন বদলে উন্নত মানের লাইন পাতার কাজ চলছে দিল্লি-হাওড়া, হাওড়া-চেন্নাই, দিল্লি-মুম্বই রুটে।
এ ছাড়া যথাক্রমে ২২০০ কোটি ও ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে গেজ পরিবর্তন ও ডাবলিং-এ। ওই টাকায় মোট ৩,৭৫০ কিলোমিটার নতুন লাইন বসতে চলেছে বলে জানিয়েছে রেল দফতর।
রেল মন্ত্রকের দাবি, সম্প্রতি রেল দুর্ঘটনা এবং তাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেশ কমেছে। পাশাপাশি স্টেশনগুলিতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং পরিবেশ-বান্ধব বায়ো-টয়লেটের সংখ্যা বাড়ানোর কাজে গতি এসেছে বলেও দাবি রেল মন্ত্রকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy