রামদেবের ‘পতঞ্জলি’র বিরুদ্ধে আবার সোচ্চার হলেন চিকিৎসকেরা। —ফাইল চিত্র।
আবার বিতর্কে যোগগুরু রামদেবের পতঞ্জলি। ওই সংস্থার নতুন প্রচার চিকিৎসাশাস্ত্রের নীতি লঙ্ঘন করছে এবং অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে ভুল প্রচার করছে। এই অভিযোগে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’ (আইএমএ)।
চিকিৎসকদের ওই সংগঠনের আপত্তি রামদেবের সংস্থার একটি নতুন প্রচারকে ঘিরে। ওই বিজ্ঞাপনে দাবি করা হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, হাঁপানি এমনকি, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার মতো দুরারোগ্য অসুখ যোগ, আয়ুর্বেদ এবং ‘নেচারোপ্যাথি’র মাধ্যমে সেরে যাবে। চিকিৎসকদের সংগঠন বলছে, এই বিজ্ঞাপনী প্রচার সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। এর কোনও ভিত্তি নেই। এমন প্রচার কেবল চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে সমাজে ভুল বার্তা যাচ্ছে।
তাই ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ)-র কাছে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে যাচ্ছে আইএমএ।
যদিও এটাই প্রথম বার নয়। পতঞ্জলি আগেও একাধিক বার বিতর্কের মুখে পড়েছে। মামলা হয়েছে আদালতে। অতিমারি আবহে রামদেব দাবি করেন, তাঁর সংস্থার তৈরি আয়ুর্বেদিক ওষুধ ‘করোনিল’ কোভিড-১৯ ভাইরাস থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, কোভিডের টিকা এবং এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রামদেব। তিনি দাবি করেন, করোনার দু’টি টিকা নেওয়ার পরে ভারতে বেশ কয়েক জন চিকিৎসক মারা গিয়েছেন। এর পর অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসাকে ‘মূর্খ’ এবং ‘দেউলিয়া’ বিজ্ঞান বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার পর রামদেবের বিরুদ্ধে সরব হয় চিকিৎসক সংগঠনগুলি। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। ওই মামলায় রামদেব এবং তাঁর সংস্থাকে সতর্ক করে শীর্ষ আদালত বলে আয়ুর্বেদশাস্ত্র নিয়ে প্রচার করতেই পারেন। কিন্তু তার জন্য অন্যান্য চিকিৎসা শাস্ত্র বা পদ্ধতির সমালোচনা করা ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy