প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সক্রিয়তা বাড়ছে চিনা সেনার। ফাইল চিত্র।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) টানাপড়েনের মধ্যেই এ বার অরুণাচল প্রদেশ ঘেঁষে চিনা ফৌজের তৎপরতার খবর সামনে এল। কোনও বিদেশি সংস্থার উপগ্রহচিত্র নয়, ভারতীয় সেনার তরফেই জানানো হয়েছে, অরুণাচলের এলএসি-র ওপারে অধিকৃত তিব্বতে চিনা ফৌজের পরিকাঠামো নির্মাণের খবর
অরুণাচলের এলএসি বরাবর চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ (পিএলএ)-র ‘বড় মাপের নির্মাণ কাজের’ খবর বিগত এক বছর ধরেই সামনে আসছিল। সোমবার ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা বলেন, ‘‘এলএসির ওপারে অন্য পক্ষ ক্রমাগত তাদের সড়ক, রেল এবং বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করছে। তাদের উদ্দেশ্য, যে কোনও পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় দ্রুত বাহিনীকে একত্রিত করা।’’
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক একটি উপগ্রহচিত্রেও অরুণাচলের সীমান্ত অঞ্চলে চিনা নির্মাণকাজের কথা জানা গিয়েছিল। সামরিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সীমান্তে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে দ্রুত ‘ফরওয়ার্ড বেস’-এ সেনা, অস্ত্র এবং রসদ পাঠানো যায়, সেই উদ্দেশ্যেই এমন কৌশল নিয়েছে শি চিনফিং সরকার।
পিএলএ-র ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের অন্তর্গত ওই এলাকায় নির্মীয়মাণ বেশ কয়েকটি নতুন বায়ুসেনা ঘাঁটিও দেখা গিয়েছিল ওই উপগ্রহচিত্রে। গত বছর অরুণাচলের উত্তর সুবনসিরি জেলায় এলএসি লঙ্ঘন করে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে চিনা ফৌজ আস্ত একটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে বলেও একটি উপগ্রহচিত্রে দাবি করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy