পাক ড্রোনের মোকাবিলায় জোড়া হাতিয়ার ভারতের। ছবি— পিটিআই।
জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রায় দু’শো বার পাকিস্তানের ড্রোন সীমান্ত টপকে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। এ বার পাক ড্রোনকে নাকানিচোবানি খাওয়াতে কৌশল সাজিয়ে ফেলল ভারতীয় সেনা। এ জন্য তৈরি হয়েছে জোড়া হাতিয়ার। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ভর করে পাক ড্রোনকে শুধু অকেজো করাই নয়, তাকে পুরোপুরি ধ্বংস করতেও তুলনা নেই সেনার নয়া অ্যাকোয়া ড্রোন এবং মাল্টি শটগানের।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, নিয়ন্ত্রণরেখার কাছাকাছি বসানো হয়েছে এই জোড়া হাতিয়ার। অ্যাকোয়া জ্যামার বা কোয়াড কপ্টার জ্যামার ড্রোনকে অকেজো করবে। মাল্টি শটগানের গুলিতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে পাকিস্তানের পাঠানো ড্রোন।
প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, সেনা কোয়াডকপ্টার জ্যামার বা অ্যাকোয়া জ্যামারকে পিছন থেকে নির্ভরতা যোগাবে মাল্টি শটগান। ৪৯০০ মিটার উচ্চতাতেও নিখুঁত ভাবে কাজ করতে সক্ষম এই অ্যাকোয়া জ্যামার শত্রুর প্রেরণ করা ড্রোনের কর্মক্ষমতা শূন্যে নিয়ে আসবে। তার পর অকেজো ড্রোনকে ধুলোয় মিশিয়ে দেবে মাল্টি শটগান।
সূত্রের খবর, অ্যাকোয়া জ্যামারের পাল্লা ৫ কিলোমিটার। অর্থাৎ ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কোনও ড্রোন প্রবেশ করলেই তাকে অকেজো করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে অ্যাকোয়া জ্যামার। অন্য দিকে, মাল্টি শটগানের অর্থ হল, একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে বসানো অন্তত তিনটি মাল্টি ব্যারেল বন্দুক বা রাইফেল। এর ফলে একই সময়ে এক সঙ্গে ন’টি গুলি চালানো যাবে।
সূত্রের খবর, এই জোড়া হাতিয়ার বসেছে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ঠিক ৪০০ মিটার পিছনে, ভারতীয় ভূখণ্ডে। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে আড়াই কিলোমিটার ভিতরে থাকবে ‘সার্ভিল্যান্স সেন্টার’ বা নজরদারি কেন্দ্র। সেখানে অত্যাধুনিক ক্যামেরা ছাড়াও থাকবে থার্মাল ইমেজার্স প্রভৃতি। সর্বক্ষণ নজরদারি চালাতে ওস্তাদ এই প্রযুক্তি।
প্রতিরক্ষা সূত্রের দাবি, এ বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সীমান্তের ওপার থেকে ১৯১টি পাকিস্তানি ড্রোন ভারতে নজরদারি চালিয়েছে। তার মধ্যে ১৭১টি পঞ্জাব সেক্টরে এবং ২০টি জম্মু সেক্টরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy