প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন দেশকে মোট ৮ কোটি টিকা দেওয়ার কথা ছিল আমেরিকার। যে প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ, তাইওয়ান ও পাকিস্তান। কিন্তু প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও টিকা পায়নি ভারত। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সঠিক তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না যে কত সংখ্যক টিকা আমেরিকা থেকে ভারত পেতে চলেছে বা কতদিনের মধ্যে সেই টিকা দেশে এসে পৌঁছবে।
কথা ছিল আমেরিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেবে । এর মধ্যে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ভারত ব্যবহার করছে, পাশাপাশি ইতিমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে অনুমতি পেয়েছে মডার্না ও রাশিয়ার স্পুটনিক ভি টিকাও। এখনও ফাইজারের টিকার অনুমতি দেওয়া হয়নি দেশে।
গত ৩ জুন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন। সেই সময়ে বলা হয়, সারা পৃথিবীতে ৮ কোটি টিকা দেবে আমেরিকা। যার মধ্যে আড়াই কোটি টিকা পাবে ভারত। পাশাপাশি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘কোভ্যাক্স’ টিকাকরণ প্রকল্পে ১ কোটি ৯০ লক্ষ টিকা দেওয়ার কথা বলে আমেরিকা। এই প্রকল্পে দরিদ্র দেশগুলির কাছে টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে। বাকি টিকা দেওয়া হবে পৃথিবীর সেই দেশগুলিতে, যেগুলিতে করোনা ভয়ানক আকার ধারণ করেছেন। সেগুলির মধ্যে রয়েছে কানাডা, মেক্সিকো, ভারত ও কোরিয়া। পরে বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। ঘটনাচক্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রবিবারই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদকালে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনও পাঠিয়েছিল ভারত। তবুও আমেরিকা এখন টিকা পাঠাতে গড়িমসি করছে।
বিভিন্ন দেশে টিকা পৌঁছে দিতে কেন দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে একটা যুক্তিও দেওয়া হয়েছে আমেরিকার প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে নিরাপদে টিকা বিভিন্ন দেশে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে নানারকম নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। সেই কারণে বেশ কিছুটা সময় লাগে। যদি আমেরিকার সরকার দ্রুত টিকা বিভিন্ন দেশের কাছে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy