বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। -ফাইল ছবি।
নির্জোট আন্দোলন বলে এখন আর কিছু হয় না। ওটা এখন পুরনো ধারণা হয়ে গিয়েছে। কোনও দিন ভারত কোনও জোটে ছিল না। এখনও নেই। কোনও দিন ভারত কোনও জোটে ভিড়বেও না। জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
চিনের উত্তরোত্তর আগ্রাসী ভূমিকা ও আমেরিকার সাম্প্রতিক অবস্থানে বিশ্বে বিভিন্ন শক্তি জোটের বিন্যাসে কোনও রদবদল ঘটবে কি না, ভারতের অবস্থানই বা কী হবে, তা আলোচনা করতে গিয়েই এ কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। দু’টি টেলিভিশন চ্যানেলের আয়োজনে একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনে।
জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মাঝারি শক্তির দেশগুলির সামনে কিছুটা সুযোগ এনে দিয়েছে। এই দেশগুলির মধ্যে যেমন ভারত পড়ে, তেমনই রয়েছে জাপান ও ইউরোপীয় জোটের দেশগুলি।
বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘নির্জোট শব্দটা ছিল একটা নির্দিষ্ট সময়ের। ওটা এখন পুরনো ধারণা হয়ে গিয়েছে। একটা সময় এর প্রয়োজন ছিল, কারণ অনেক দেশে তখন স্বাধীনতা আসছিল। আমরাও সেই প্রয়োজন থেকেই নির্জোট আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম।’’
আরও পড়ুন- মমতার মাস্টারস্ট্রোক, রোগ ছড়ানো কমবে, মত বিশেষজ্ঞদের
আরও পড়ুন- করোনা সংক্রমণ সামলাতে প্রতি শনি, রবি বন্ধ ব্যাঙ্ক
জয়শঙ্করের মতে, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকা আর তত বড় ছাতা নয় আগের মতো। তার ফলে, অনেক দেশ স্বাধীন ভাবে অনেক কিছু করে উঠতে পারছে। করছে। এতে অবশ্য আমাদের কিছু যায় আসেনি। কারণ, আমরা কোনও দিনই কোনও জোটে ছিলাম না। এখনও নেই। কোনও দিনই কোনও জোটে ভিড়ব না আমরা। কিন্তু যারা আমেরিকার মুখাপেক্ষী হয়ে ছিল এত দিন, সেই সব দেশ এখন স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার প্রয়োজন অনুভব করতে শুরু করেছে।’’
জোট-নিরপেক্ষতার পথে অবিচল থাকতে আগামী দিনে ভারত ‘আরও কিছু ঝুঁকি নেবে’ বলেও জানান জয়শঙ্কর। সেগুলির অন্যতম হবে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে উন্নত, যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তোলা, সমুদ্রের নিরাপত্তা বাড়ানো, জলবায়ু পরিবর্তন ও সন্ত্রাসদমন।
সিঙ্গাপুরের শিক্ষাবিদ সি রাজামোহন ও ব্যবসায়ী সুনীল মুঞ্জলের তোলা প্রসঙ্গের প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রী স্বীকার করেন, ‘‘এটা ঠিক, অর্থনীতিতে চিন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশ যে ভাবে এগিয়ে গিয়েছে আমরা ততটা পারিনি। আমরা আরও ভাল করতে পারতাম। আমরা পুরোদস্তুর শিল্পায়ন করতে পারিনি। উৎপাদন শিল্পকে ততটা উন্নত করে তুলতে পারিনি। এটাও ঠিক, চিনের প্রায় দেড় দশক পর আমরা কাজটা করতে শুরু করেছিলাম। তবে চিন যে ভাবে সংস্কারটা করতে পেরেছে আমরা সে ভাবে পারিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy