জি ২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ কর্মসূচিতে জায়গা করে নিতে চলেছে এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার গরিব দেশগুলির মতামত ও চাহিদার ভাষ্য। ফাইল ছবি।
এই প্রথম জি ২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ কর্মসূচিতে জায়গা করে নিতে চলেছে এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকার গরিব দেশগুলির মতামত ও চাহিদার ভাষ্য। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলা ভারতের নেতৃত্বাধীন দু’দিনের ‘ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ’ সম্মেলনের আগে এমনটাই দাবি করছে সাউথ ব্লকের সূত্র। কূটনৈতিক শিবিরের অনুমান, বিশ্বের এই বড় অংশের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন নীতিকে তুলে ধরে নিজেদের অবস্থানে সিলমোহর লাগাতেও চাইছেমোদী সরকার।
সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ১২০টি উন্নয়নশীল দেশের রাষ্ট্রনেতা ও মন্ত্রীদের ডেকে (ভিডিয়ো মাধ্যমে) তাদের দাবি ও সমস্যার কথা শোনা হবে। বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে, জি ২০-র আলোচ্যসূচিতে রাখা হবে সেই সমস্যা এবং দাবির ভাষ্য।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ‘গ্লোবাল সাউথ’ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রগুলির অধিকাংশই রাশিয়ার উপরে চাপানো আমেরিকা এবং ইউরোপের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করে না। তারা ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে ভারতের মতোই সংলাপ এবং কূটনীতির পথে চলায় বিশ্বাসী। অর্থনৈতিক ভাবে চূড়ান্ত বেহাল এই তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রগুলি যে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, তাতে তাদের পক্ষে বর্তমান ভূ-কৌশলগত রাজনীতিতে কোনও একটি বিশেষ মেরুর দিকে ঝুঁকে থাকা বা পক্ষ নেওয়া বিলাসিতা মাত্র। রাষ্ট্রগুলির নুন আনতে পান্তা ফুরোচ্ছে, ফলে সস্তায় জ্বালানি পেলে তা ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে হেলায় ফিরিয়ে দেওয়া গ্লোবাল সাউথ-এর পক্ষে সম্ভব নয়।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, এখানেই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চাইছে ভারত। সম্প্রতি অস্ট্রিয়া সফরে গিয়ে ভিয়েনা থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বাইরেও অনেক সমস্যা রয়েছে বহু দেশের, যা ইউরোপ বা আমেরিকা কানে তোলে না। জ্বালানি, খাদ্যসারের সঙ্কট, কোণঠাসা অর্থনীতির কথা সে দিন উল্লেখ করেছিলেন জয়শঙ্কর। রাশিয়া যুদ্ধে আগাগোড়া নিরপেক্ষ কূটনীতির সাবধানি রাস্তায় থাকা নরেন্দ্র মোদী সরকার এ বার চাইছে জি ২০-র মঞ্চে অনুপস্থিত বিশ্বের এই বিশাল অংশের স্বরকে (সাউথ) নিজেদের সঙ্গে রাখতে। সূত্রের বক্তব্য, সেটা ভারতের নিজস্ব রাশিয়া-ইউক্রেন নীতিকে আরও পোক্ত করবে। ভারত নিজেও রাশিয়া থেকে সস্তায় অশোধিত তেল আমদানির পক্ষে। জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে আমেরিকা এবং ইউরোপ নয়াদিল্লির উপরে প্রবল চাপ তৈরি করবে এটা স্পষ্ট। কূটনৈতিক শিবিরের মতে,তার আগে এশিয়া, আফ্রিকার দেশগুলিকে নিজেদের সঙ্গে রাখতে চাইছে সাউথ ব্লক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy