Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
India-China Border

লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতি ভাল নয়, মোতায়েন করা হয়েছে আরও সেনা, চিন নিয়ে উদ্বিগ্ন বিদেশমন্ত্রী

শুক্রবারই সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে জানান, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করছে চিন। তবে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারতীয় সেনা প্রস্তুত বলে জানান তিনি।

India says situation with China fragile and dangerous in Ladakh, said S Jaishankar

লাদাখ সীমান্তে পরিস্থিতি ভাল নয়, উদ্বিগ্ন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ১৫:৫৯
Share: Save:

লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি ভাল নয় বলে দাবি করলেন খোদ বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর দাবি, সীমান্তের বেশ কিছু অংশে চিন এবং ভারতের সেনা পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। শনিবার একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমের তরফে আয়োজিত আলোচনাসভায় জয়শঙ্কর বলেন, আমার মতে লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি এখনও ভয়ঙ্কর অবস্থায় রয়েছে। মন্ত্রীর এই দাবিতে চিন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে নয়া জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।

২০২০ সাল থেকে বারবারই উত্তপ্ত হয়েছে ভারত-চিন সীমান্ত। গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চিনের সেনা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা এবং ৪০ জনেরও বেশি চিনা সেনার মৃত্যু হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসেও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল লাদাখ সীমান্ত। তবে সে বার কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ভারত-চিনের মাঝে থাকা ম্যাকমোহন লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমানা হিসাবে কখনওই স্বীকার করেনি চিন। চিনের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছে ভারত। গত ডিসেম্বরের ওই ঘটনার পর অবশ্য কূটনৈতিক স্তরে আবার দুই দেশ আলোচনা শুরু করে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে উন্নত করার চেষ্টা করা হয়।

শুক্রবারই ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে জানান, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করছে চিন। দ্রুত গতিতে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন পরিকাঠামো। কমানো হয়নি পিপলস্‌ লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সেনাসংখ্যাও। তবে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনা জওয়ানেরাও। তাঁর কথায়, ‘‘সামগ্রিক ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তবে আমাদের খুব ভাল ভাবে পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখতে হবে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অস্ত্র মজুত রয়েছে। নতুন প্রযুক্তি এবং অস্ত্র আমদানি করতে আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। একই ভাবে আমরাও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছি। বিশেষ করে নতুন নতুন রাস্তা এবং হেলিপ্যাড তৈরির ক্ষেত্রে।” চিন সীমান্ত নিয়ে সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরই বিদেশমন্ত্রীর এই ‘উদ্বেগ’কে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy