Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
India-China

লাদাখ নিয়ে মন্তব্যের অধিকারই নেই চিনের, জবাব বিদেশমন্ত্রকের

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের আর্থিক এবং সামাজিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যেই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।’’

লাদাখের আকাশে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। ছবি: রয়টার্স।

লাদাখের আকাশে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। ছবি: রয়টার্স।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ১৯:২৯
Share: Save:

লাদাখ নিয়ে কড়া ভাষায় বেজিংয়ের অভিযোগের জবাব দিল নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘লাদাখ প্রসঙ্গে চিনের কিছু বলারই অধিকার নেই।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। আছে। থাকবে।’’

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) টানাপড়েন প্রসঙ্গে মঙ্গলবার চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান বলেছিলেন, ‘‘আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, বেআইনি ভাবে ‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল’ ঘোষণা করা লাদাখকে ভারতের অঞ্চল বলে স্বীকৃতি দেয় না চিন। অরুণাচল প্রদেশকেও নয়। সীমান্ত এলাকায় সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনে যে নির্মাণকাজ হয়েছে আমরা তারও বিরুদ্ধে।’’ ঝাও জানান, দ্বিপাক্ষিক ঐকমত্য অনুসারে এমন কোনও পদক্ষেপ করা উচিত নয়, যাতে উত্তেজনা বাড়তে পারে। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সঙ্ঘাতের মূল কারণ হিসাবে সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে ভারতের বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচিকে দায়ী করেন তিনি।

সেই অভিযোগ খারিজ করেই অনুরাগ এ দিন বলেন, ‘‘সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের আর্থিক এবং সামাজিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যেই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছি আমরা। কোনও অবস্থাতেই তা থামবে না।’’

আরও পড়ুন: ‘ভারত বিরোধী’ উপ-প্রধানমন্ত্রীর দফতর ছেঁটে বার্তা নেপালের

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সোমবার পাকিস্তান ও চিন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৪৪টি সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। তারই প্রতিক্রিয়ায় লাদাখের ‘অধিকার’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঝাও। ওই সেতুগুলি লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পঞ্জাবের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় তৈরি করা হয়েছে। সামরিক কৌশলগত দিক থেকে কয়েকটি সেতুর অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন: টিআরপি জালিয়াতির অভিযোগে নিউজ চ্যানেলের রেটিং বন্ধ তিন মাস

প্রসঙ্গত, এর আগে লাদাখের এলএসি ঘেঁষে নির্মিত লেহ্-শিয়োক-দাবরুক-দৌলতবেগ ওল্ডি সড়ক নিয়েও প্রকাশ্যে আপত্তি তুলেছে বেজিং। অন্যদিকে, নয়াদিল্লির প্রতিবাদে কর্ণপাত না করে শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে পাক অধিকৃত গিলগিট-বালটিস্তান হয়ে পেশোয়ার, ইসলামাবাদ ছুঁয়ে বালুচিস্তানের গ্বদর বন্দর পর্যন্ত রাস্তা বানিয়েছে বেজিং। যার পোশাকি নাম ‘চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর’।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy