সেনা স্কাউটদের একটি অনুষ্ঠানে রাজনাথ সিংহ। ছবি: পিটিআই।
পোখরানের বিস্ফোরণ স্থলে দাঁড়িয়ে আজ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
অন্য দেশ পরমাণু হামলা না-চালালে ভারত আগ বাড়িয়ে কখনওই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না— এটাই নয়াদিল্লির ঘোষিত নীতি। কিন্তু আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ জানালেন, এত দিন ওই নীতি থাকলেও, ভবিষ্যতে কী হবে তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।
বাজপেয়ী জমানায় ১৯৯৮ সালে পোখরানে দ্বিতীয় বার পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল ভারত। আজ সেনা স্কাউটদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জয়সলমেরে গিয়েছিলেন রাজনাথ। অনুষ্ঠান শেষে চলে যান পার্শ্ববর্তী পোখরানে পরমাণু বিস্ফোরণ স্থলে। মালা দেন বাজপেয়ীর ছবিতে। বলেন, ‘‘ভারত নীতিগত ভাবে পরমাণু অস্ত্রের প্রথম ব্যবহারকারী হওয়ার বিপক্ষে। এত দিন তা মেনে আসা হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে, তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে রাজনাথ বরাবর মেপে কথা বলেন। তাঁর মন্তব্যটি যথেষ্ট অর্থবহ বলে মনে করা হচ্ছে। দেশবাসীর কাছে তাই বিষয়টি স্পষ্ট করার দাবি করেছে কংগ্রেস। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির কথায়, ‘‘ওই মন্তব্যে দেশবাসী সংশয়ে। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে নীতির পরিবর্তন হলে তা দেশকে জানাক কেন্দ্র।’’
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজের পরে সরকার ও গেরুয়া শিবিরের একটি অংশ পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলে উৎসাহী। ২০২৪-এর নির্বাচনের আগে মোদী এই ধরনের ঝুঁকি নিতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে ইসলামাবাদের। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনা এমন কোনও পদক্ষেপ করলে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়বে পাকিস্তান। যদিও তার পরেই ইমরান অবস্থান স্পষ্ট করে জানান, তার মানে এই নয় যে পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ভয় দেখাচ্ছে।
রাজনীতির লোকজন মনে করছেন, মোদীর সম্মতিতেই রাজনাথ আজ পাকিস্তানকে এ ভাবে পাল্টা বার্তা দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন, দরকার পড়লে ভারত পুরনো নীতি আঁকড়ে থাকবে না। আত্মরক্ষার প্রয়োজনে অন্য কারও পরমাণু হামলার অপেক্ষায় না-থেকে প্রথমেই পরমাণু আঘাত হানতে পিছপা হবে না।
রাজনাথ যে দিন এ কথা বলছেন, সে দিনও পাকিস্তান দাবি করেছে, ২৪ ঘণ্টায় তারা নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের ৬ জওয়ানকে মেরেছে। এবং ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার গৌরব অহলুওয়ালিয়াকে তলব করে নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাগুলি চালানোর দায় চাপিয়েছে ভারতেরই উপরে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy