—প্রতীকী ছবি।
২০২৩ সালের আমেরিকার ধর্মীয় স্বাধীনতা রিপোর্টে ভারতে ক্রমবর্ধমান ঘৃণাভাষণ এবং ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইনের নিন্দার পরে আজ সরকারি ভাবে পাল্টা তোপ দাগল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে নিশানা করা হয়েছে ওয়াশিংটনকে।
সাম্প্রতিক অতীতে বার বারই আমেরিকা ভারত নিয়ে বাঁকা কথা বললে তার মোকাবিলা করতে দেখা গিয়েছে নয়াদিল্লিকে। তবে তা করা হত সংক্ষিপ্ত ভাবে, সংঘাত এড়িয়ে গিয়ে। কিন্তু আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়ালকে দেখা গেল কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে। তাঁর কথায়, “অতীতের মতো এই রিপোর্টটিও অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট, ভারতের সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে জ্ঞানগম্যিহীন এবং দৃশ্যতই সে দেশের ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির দিকে তাকিয়ে তৈরি করা হয়েছে, একটা চাপিয়ে দেওয়া মানসিকতা থেকে। আমরা এই রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করছি।” তবে মুখে আমেরিকার ‘ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির’ কথা বললেও আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে কী ভাবে ভারতের ধর্মীয় সহিষ্ণুতা সংযুক্ত, তার কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে চাননি তিনি।
জায়সওয়ালের কথায়, “এই রিপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ, খবরের পক্ষপাতদুষ্ট সূত্রের উপর ভিত্তি করা, একপেশে। আগে থেকে তৈরি করা একটি ভাষ্যকে মান্যতা দিতে আমাদের সাংবিধানিক নীতি এমনকি, দেশের আইনকেও ওরা নিজের মতো করে গড়ছে। কিছু কিছু জায়গায় রিপোর্টে আমাদের আইনের মান্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ভারতীয় আদালতের কিছু রায়ের সততাকেও চ্যালেঞ্জ করেছে এই রিপোর্ট।”
প্রসঙ্গত, আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গত কাল বলেছিলেন, ‘‘ভারতে আমরা ধর্মান্তরণ-বিরোধী আইন, ঘৃণাভাষণ, সংখ্যালঘুদের ধর্মস্থান ও বাসগৃহের উপরে হামলার ঘটনা বেড়ে চলতে দেখছি।’’ এটা উদ্বেগের বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের পাল্টা বক্তব্য, “২০২৩ সালে ভারত সরকারি ভাবে আমেরিকার বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে জানতে চেয়েছিল। সেগুলির মধ্যে রয়েছে সেই দেশের ঘৃণাসঞ্জাত অপরাধ, জাতিবিদ্বেষ, ভারতীয় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ, তাদের প্রার্থনার জায়গাকে আক্রমণ করা, হিংসা, আইনপ্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অন্যায্য ব্যবহার, চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক পরিসর দেওয়া।’’
খলিস্তানপন্থী নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার চেষ্টা এবং তাতে ভারতের ‘সংযোগের’ বিষয়ে দিল্লি ঠিক ভাবে তদন্ত করুক, এমন কথা বলেছেন আমেরিকার আর এক কর্তা কার্ট ক্যাম্পবেল। এই বিষয়টিকেও বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে রণধীর বলেছেন, “উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যখন সমস্ত তথ্য সামনে আসবে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy