(বাঁ দিকে) শাহবাজ শরিফ। ভাবিকা মঙ্গলানন্দন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৯তম সাধারণ সভায় কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করল ভারত। পাক প্রধানমন্ত্রীর শুক্রবারের বক্তৃতার জবাবে (রাইট টু রিপ্লাই) রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন শনিবার বলেন, ‘‘কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট বানচাল করতে সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করছে পাকিস্তান।’’
পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ রাষ্ট্রপুঞ্জ সাধারণ সভায় অভিযোগ করেন, প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ড গাজ়ায় ইজ়রায়েলি সেনা যে ভাবে মানুষ খুন করছে, সেই কায়দাতেই ভারতীয় সেনা কাশ্মীরের জনতার উপর হামলা চালাচ্ছে। শরিফের ওই অভিযোগের জবাবে মঙ্গলানন্দন বলেন, ‘‘গোটা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান দীর্ঘ দিন ধরে তার প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে সীমান্তপারের সন্ত্রাসকে কাজে লাগিয়েছে। আমাদের সংসদ ভবন, আমাদের আর্থিক রাজধানী মুম্বই এবং তীর্থযাত্রার পথেও জঙ্গি হামলা করানো হয়েছে। তালিকাটি দীর্ঘ।’’
এর পরেই শরিফের নাম না করে তাঁকে খোঁচা দেন ভারতীয় কূটনীতিক। তিনি বলেন, ‘‘এমন একটি দেশের প্রতিনিধি যদি কোনও জায়গায় হিংসার কথা বলেন, তা সবচেয়ে খারাপ ভণ্ডামির উদাহরণ।’’ পাক প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘‘প্যালেস্টাইন এবং কাশ্মীরের জনগণ একই ভাবে স্বাধীনতা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবিতে লড়াই চালাচ্ছেন।’’ মঙ্গলানন্দন তার জবাবে দাবি করেছেন, কাশ্মীরের আমজনতা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে বিধানসভা ভোটে অংশ নিচ্ছেন। তা দেখে ক্ষিপ্ত পাকিস্তান নাশকতার অভিঘাত বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর ভারতীয় ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় প্রথম বার বক্তৃতা দিতে গিয়েও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে ‘অত্যাচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তুলেছিলেন শরিফ। কয়েক মাস আগে রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পাকিস্তানের প্রতিনিধি মুনির আক্রম পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘প্যালেস্টাইন ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের উপরে একই ভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy