উন্নতির লক্ষ্যে ভারতের সততার সংস্কৃতি মেনে চলা প্রয়োজন। পক্ষপাতদুষ্ট হলে চলবে না। বরং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। বিদেশ মন্ত্রকের এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি।
বৃহস্পতিবার, বিদেশ মন্ত্রকের ওই অনুষ্ঠানে নারায়ণ মূর্তি বলেন, “দেশের খুব সামান্য অংশই কঠোর পরিশ্রম করে। বাকিরা তা এখনও রপ্ত করে উঠতে পারেনি। যা কি না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আকাঙ্ক্ষা পূরণে অপরিহার্য।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের আরও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, দ্রুত তা বাস্তবায়নের পথ খুঁজতে হবে। ঝামেলামুক্ত এবং পক্ষপাতহীন লেনদেনের পথ অনুসরণ করেতে হবে।”
আরও পড়ুন:
চিন এবং ভারতের তুলনা টেনে নারায়ণ মূর্তি বলেন, “১৯৪০ সালে দুই দেশেরই অর্থনীতির অবস্থান একই রকম ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে চিন তাদের অর্থনীতি ছয় গুণ বাড়িয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।” চিনের অর্থনীতি এগিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে একটি ছোট্ট উদাহরণও দিয়েছেন নারায়ণ মূর্তি। তাঁর কথায়, ‘‘২০০৬ সালে চিনে কারখানা তৈরি করতে গিয়ে যে শহরে আমার জমি পছন্দ হয়েছিল, সেই শহরের মেয়র তার ঠিক এক দিন পরেই ২৫ একর জমি আমার হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
নতুন যুগের কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করার বিষয়ে জোর না দিতেই পরামর্শ দিয়েছেন নারায়ণ মূর্তি। তাঁর মতে সকলের উচিত আলস্য কাটানো এবং নৈতিকতার দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)