এ বার ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার প্রযুক্তি হাতে আসতে চলেছে। —ফাইল চিত্র।
ড্রোন থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসছে ক্ষেপণাস্ত্র। তার আঘাতে গুঁড়িয়ে যাচ্ছে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি। ঠিক যেন হলিউডি ‘ওয়ার মুভি’র দৃশ্য। এত কাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, রাশিয়া বা ইওরোপের হাতে গোনা কয়েকটি দেশের কাছেই ছিল এই প্রযুক্তি। এ বার নিজস্ব প্রযুক্তিতে তা তৈরি করতে চলেছে ভারতও। বছর দশেকের ভিতরেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে চলেছে হিন্দুস্তান এরোনটিক্যাল লিমিটেড (হ্যাল)। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বেঙ্গালুরুর ‘নিউস্পেস রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিস’। এমনটাই জানিয়েছেন আলফা-এস বা এয়ার লঞ্চড ফ্লেক্সিবল অ্যাসেট (সোয়ার্ম) প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোটে জইশ-এ-মহম্মদের ঘাঁটিতে ভারত যে ভাবে বিমানহানা চালিয়েছিল, তার প্রতি পদে ছিল বিপদ। সেই সময়, পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা পড়ে গোটা দেশের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। তবে, জঙ্গিদমনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে নতুন ধরনের এই ড্রোন দারুণ কার্যকরী হবে বলেই জানাচ্ছেন সোয়ার্ম প্রকল্পের কর্তারা। তাঁদের মতে, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র বলতে যা বোঝায় আলফা-এস ঠিক তাই। এই ড্রোনগুলিকে বয়ে নিয়ে যাবে যুদ্ধবিমান। শত্রুর অলক্ষ্যে এগুলিকে ছাড়া হবে ঝাঁকে ঝাঁকে। সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারবে এই ড্রোনগুলি। অভিযানের সময়সীমা যদি দীর্ঘ ক্ষণ হয়, তা হলে ড্রোনগুলিও তত ক্ষণ একই গতিতে উড়বে।
ইনফ্রারেড ও ইলেকট্রো অপটিক্যাল সেন্সরের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থাকবে এই ড্রোনগুলিতে। ফলে, আলাদা আলাদা উড়লেও কোথায় কখন আঘাত হানতে হবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যেও তথ্য আদানপ্রদান করতে পারবে তারা। প্রকল্পের কর্তাদের মতে, যে কোনও লড়াইতেই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ হয়ে উঠবে আলফা-এস।
আরও পড়ুন: ভারত যুদ্ধবিমান না সরালে আমরাও আকাশসীমা খুলব না: পাকিস্তান
আরও পড়ুন: পুলিশ দাঁড়িয়ে! তা-ও হুমকি,ধাক্কা ব্যবসায়ীকে, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে ফোন গেল থানায়
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy