—প্রতীকী ছবি।
ভারত মহাসাগরে নজরদারি আরও বাড়াতে লক্ষদ্বীপে নতুন নৌঘাঁটির উদ্বোধন করল ভারত। সেখানকার মিনিকয় দ্বীপে এই সামরিক ঘাঁটির নাম আইএনএস জটায়ু। এই প্রকল্পের সূত্রে ধরে স্বাভাবিক ভাবেই কূটনৈতিক শিবিরে উঠে এল ভারত মলদ্বীপের সাম্প্রতিক তিক্ততার ইতিবৃত্ত।
নয়াদিল্লি জানাচ্ছে এই ঘাঁটি তৈরির লক্ষ্য পশ্চিম আরব সাগরে জলদস্যুদের মোকাবিলা। পাশাপাশি মাদক চোরাচালান রুখতেও নৌবাহিনীর কার্যক্ষমতা বাড়বে। লক্ষদ্বীপের সব চেয়ে দক্ষিণের দ্বীপ মিনিকয়। মালাক্কা প্রণালী এবং এডেন উপসাগর ও হরমুজ প্রণালীর মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া বাণিজ্যপথের পাশে এই দ্বীপের অবস্থান। সেখানে নৌঘাঁটি হলে ভারতের নৌবাহিনীর আভিযানিক ক্ষমতা আরও বাড়বে বলে দাবি
করা হচ্ছে।
তবে ভারত মহাসাগরের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সমুদ্র রণনীতিতে এই ঘাঁটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। মলদ্বীপে চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। নতুন ঘাঁটিটি এই অঞ্চলে দিল্লির নজরদারি বাড়াতে সহায়তা করবে। ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি, সেখান থেকে ভারতীয় সেনাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের নৌবাহিনীর এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ। গত বছর মলদ্বীপের চিনপন্থী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ভারত ও মলদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
ঘটনা হল, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৮০ শতাংশ মালাক্কা প্রণালীর সঙ্গে সম্পর্কিত এই জলপথে হয়। চিন তাদের জ্বালানি এবং বাণিজ্যের জন্য এই পথ ব্যবহার করে থাকে। কৌশলগত ভাবে এই অঞ্চলের গুরুত্ব তাই যথেষ্ট। ফলে সমুদ্রপথে চিনের একাধিপত্যের প্রয়াস রুখতে এই নৌঘাঁটি খুবই জরুরি হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy