লাদাখ সীমান্তে টহল ভারতীয় সেনার। ফাইল চিত্র।
কথা দিয়েও প্রতিশ্রুতিভঙ্গ করেছে চিন। এই মর্মেই পড়শি চিনের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করল ভারত। দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ২০২২ সালের যে বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তাতে সবচেয়ে বেশি শব্দ ব্যয় করা হয়েছে চিনকে নিয়েই। সেখানে চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেই বলা হয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় একতরফা ভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করে গিয়েছে চিন। আর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও তা প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি করেছে ভারত।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে মাস থেকে ধারাবাহিক ভাবে লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে স্থিতাবস্থা নষ্ট করতে চেয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। একই সময় চিন আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলির সমাধান করবে বলেও বেজিংয়ের কাজ এবং কথায় ফারাক রয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছে নয়াদিল্লি। তবে চিনের প্রতিটি প্ররোচনার ক্ষেত্রেই যে ভারতীয় সেনা উপযুক্ত জবাব দিয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর চিনা বিদেশমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে যেতে সীমান্তে শান্তি এবং সুস্থিতি বজায় রাখা প্রয়োজন।
বার বার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলা হলেও ভারত এবং চিনের সম্পর্ক যে স্বাভাবিক অবস্থায় নেই, সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এই রিপোর্টে। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল দুই দেশের সেনা। এতে দুই দেশেরই বেশ কয়েকজন সেনা মারা যায়। তবে চিনের দিকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি ছিল বলেই ভারতীয় সেনার একটি সূত্র মারফত জানা যায়। রিপোর্টে নয়া আশঙ্কায় কথা বলতে গিয়ে এ-ও বলা হয়েছে প্যাংগং হ্রদ, দেপসাংয়ের মতো বিতর্কিত এলাকাগুলোয় যে ভাবে দুই দেশই সেনা মোতায়েন করেছে, তাতে ভবিষ্যতে সংঘাতের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ভারত বার বার পারস্পরিক আলোচনার উপর আস্থা রেখেছে বলেও জানানো হয়েছে এই রিপোর্টে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy