প্যাংগংয়ে আরও বড় গুলি চালানোর ঘটনা সামনে এল।
২৯-৩০ অগস্ট রাত থেকে শুরু করে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অন্তত চারটি চিনা আগ্রাসনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যেই আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে প্যাংগং এলাকায়, যা বুধবারই প্রথম সামনে এসেছে। ৪৫ বছরের রীতি ভেঙে নজিরবিহীন ভাবে একটি ঘটনায় ১০০ থেকে ২০০ রাউন্ড সতর্কতামূলক গুলি চলছে। দু’পক্ষই শূন্যে গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক সরকারি আধিকারিক।
ওই সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্যাংগং-এর উত্তর উপকূলে ফিঙ্গার ৩ এবং ফিঙ্গার ৪ এর সংযোগস্থলে এই ঘটনা ঘটেছে। ৭ সেপ্টেম্বর শূন্যে গুলি চালানোর ঘটনা আগেই সামনে এসেছিল। গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট (আগে কোনও পক্ষেরই সেনা ছিল না সেখানে) ভারতীয় জওয়ানরা দখল করে নেয়। ভারতীয় সেনাকে সরাতে সশস্ত্র চিনা বাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে। তবে শূন্যে গুলি চালিয়ে ফিরে যায়। ৭ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনা নিয়ে নয়াদিল্লি-বেজিং দু’পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু বড় মাপের এই গোলাগুলির ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও পক্ষই বিবৃতি দেয়নি। ওই সরকারি সূত্র জানিয়েছে, সেপ্টেম্বেরের প্রথম সপ্তাহে প্যাংগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ উভয় দিকেই দু’পক্ষের সেনার মধ্যে প্রচুর নড়াচড়া হয়েছে। তার মধ্যে ‘একাধিক গুলি বিনিময়’-এর ঘটনা ঘটেছে।
ওই আধিকারিক বলেন, ২৯-২০ অগস্ট রাতে চিন সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের জওয়ানরা তা রুখে দেওয়ার পর থেকেই আগ্রাসী হয়ে ওঠে চিনের পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলও)। কারণ ভারত তুলনামূলক ভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। তাই ভারতীয় সেনাকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল চিনের বাহিনী। তার জেরেই এত বড় ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করেছেন ওই আধিকারিক।
আরও পড়ুন: লাদাখ: সংসদে প্রশ্ন করতে দিল না শাসক শিবির, ওয়াক আউট কংগ্রেসের
প্যাংগং লেকের দক্ষিণ উপকূলে চুসুল সাব সেক্টরে দু’পক্ষের সেনার মধ্যে ব্যবধান ৩০০ মিটারেরও কম। ফিঙ্গার ৪-এ এখনও চিনা বাহিনী বসে রয়েছে। ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত ভারতীয় ভূখণ্ড হলেও দীর্ঘদিন ধরেই চিনা সেনা এই চারটি ফিঙ্গার পয়েন্ট দখল করে রেখেছে। আর যে এলাকায় গুলি চলেছে, সেখানে দু’পক্ষের সেনার মধ্যে দূরত্ব ৫০০ মিটারের মতো, জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
আরও পড়ুন: ৫০ লক্ষ ছাড়াল দেশের মোট আক্রান্ত, এক দিনে ১২৯০ জনের মৃত্যু
তবে ১০ সেপ্টেম্বর দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকের পর উত্তেজনা কমেছে বলেও জানিয়েছে ওই সরকারি সূত্রটি। ওই আধিকারিক বলেন, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত। কারণ, দু’দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মস্কোয় বৈঠক করেছেন। এখন নয়াদিল্লি-বেজিং দু’পক্ষেরই নজর ও গুরুত্ব বেড়েছে আলোচনার উপর।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এখন আগ্রাসন কমেছে। সেনা কমান্ডাররা নিশ্চয়ই কথা বলবেন। বৈঠকে দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থান ও বক্তব্য জানাবে। তবে আমার মনে হয় না, চিনা বাহিনী নমনীয় অবস্থান নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy