ছবি: পিটিআই।
সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার লাদাখ যাচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। জুলাইয়ের শুরুতেই এক বার তাঁর লাদাখ যাওয়ার কথা হয়েছিল। পরিবর্তে যান খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেনা সূত্রের খবর, রাজনাথের সঙ্গে যাবেন সেনাপ্রধান এম এম নরবণে। গত কাল ভারত-চিন বৈঠকের পরেই রাজনাথের এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আগের দফার ভারত-চিন বৈঠকের পরে লাদাখ গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ বারে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের মতে, সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে চিন কতটা আন্তরিক তা বুঝতে এবং ভারত যে এ বিষয়ে সর্ব্বোচ্চ স্তর থেকে নজরদারি রাখছে— সেই বার্তা দিতেই রাজনাথের এই লাদাখ সফর। শুক্রবার লাদাখ সফর শেষে শনিবার শ্রীনগর যাবেন তিনি। সেখানে পাক সীমান্তে প্রস্তুতি নিয়েও সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন রাজনাথ।
চিনের সেনা গত এপ্রিল মাসে অনুপ্রবেশ করেছিল ভারতীয় ভূখণ্ডে। সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে গত কাল ছিল দু’দেশের সেনা কমান্ডার পর্যায়ের চতুর্থ বৈঠক। পূর্ব লাদাখের ভারতীয় সীমান্ত চুসুলে গত কাল বৈঠকটি শুরু হয় বেলা সাড়ে এগারোটায়। চলে প্রায় রাত দু’টো পর্যন্ত। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্ক কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের মতে, দীর্ঘ সাড়ে চোদ্দো ঘণ্টার ওই বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে ফিঙ্গার পাঁচ থেকে আট পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহার, ডেপসাং এলাকা থেকে চিনের সেনার সরে যাওয়ার দাবি তোলা হয়। সেনার একটি সূত্রের মতে, ফিঙ্গার পাঁচ থেকে সরে যাওয়ার প্রশ্নে রাজি হয়েছে চিন। বাকি ফিঙ্গার ছয় থেকে আট পর্যন্ত নিজেদের দখলে রাখার প্রশ্নে অনড় বেজিং। গত এপ্রিল মাসের আগে পর্যন্ত ফিঙ্গার আট পর্যন্ত টহলদারি দিত ভারতীয় সেনা। তাই চিনের সেনা সেই পর্যন্ত ফিরে না-যাওয়া পর্যন্ত— স্থিতাবস্থা ফিরেছে, এমনটা বলা যাবে না। ফলে এখনও পর্যন্ত সাফল্য এসেছে বলে মানতে নারাজ প্রাক্তন সেনানীরা। সরকারের দাবি, চিনের সঙ্গে আবারও বৈঠক হবে। ভারত তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে বদ্ধপরিকর।
চতুর্থ বৈঠকের তিন দিনের মাথায় লাদাখে সীমান্ত সংলগ্ন ফরোওয়ার্ড পোস্টেও যাওয়ার কথা রয়েছে রাজনাথের। এর আগে ভারত-চিন বৈঠক হয়েছিল গত ৩০ জুন। সেই বৈঠকের তিন দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী লাদাখ গিয়েছিলেন। এবার চতুর্থ বৈঠকের পর রাজনাথের যাওয়ার সিদ্ধান্তের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ছাপ রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। সরকারের একটি অংশের মতে, মূলত বৈঠকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে চিন যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তা পালন হচ্ছে কি না তা যে ভারতের একেবারে শীর্ষ স্তর থেকে নজরদারি করা হচ্ছে সেই বার্তা দিতেই এবার বৈঠকের পরেই রাজনাথকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাবাহার রেল প্রকল্প থেকে সরছে না দিল্লি
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ছেড়ে এডিবিতে যোগ লাভাসার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy