ছবি: এএফপি।
ভারত এবং চিনের মধ্যে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা সরানো নিয়ে দু’রকম অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেল। গত কাল প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক হয় ভারত এবং চিনের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন’ (ডবলিউএমসিসি)-র। তার পর ভারত এবং চিন যে বিবৃতি দিয়েছে (বেজিং-এর বিবৃতি মান্দারিন ভাষায়), তাতে মতপার্থক্য রয়েই যাচ্ছে বলে মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক।
পরশু দিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, চিন সম্পূর্ণ ভাবে সেনা সরানো এবং এলএসি-তে সেনা সমাবেশ কমানোর ব্যাপারে আন্তরিক পদক্ষেপ করবে বলে আশা করছে সাউথ ব্লক। গত কালের বৈঠকের পর ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘৫ জুলাই দু’তরফের সীমান্ত সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি ফোনে কথা বলেন এবং একটি চুক্তিতে পৌঁছন। ভারত এবং চিন আজকের বৈঠকে সেই বিষয়টিকে তুলে এনে সীমান্ত থেকে দ্রুত সেনা সরানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে। দু’পক্ষের সিনিয়র কমান্ডাররা এখনও পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে বৈঠকে যে বোঝাপড়ায় পৌঁছেছেন, তা দ্রুত বাস্তবায়নের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।’’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চিন যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে বলা হচ্ছে, ‘‘দু’দেশেরই সামনের সারির সেনাবাহিনী এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত করা এবং পিছিয়ে আসার ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছে।’’ কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, চিনের এই বক্তব্যের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভারতীয় বিবৃতির অনেকটাই ফারাক। চিনের বিবৃতি অনুযায়ী, প্রথমত ভারত নিজেই নিজের জমি থেকে পিছু হটছে। দ্বিতীয়ত, এই পিছু হটার ব্যাপারে এবং এলএসি থেকে সেনা কমানোর প্রশ্নে চিন যা বলছে, তা ঠিক নয় বলেই দাবি করছে ভারতের সরকারি সূত্র।
ডবলিউএমসিসি-র পর
ভারতের বক্তব্য
‘‘চিনের সেনা সরানো নিয়ে পদক্ষেপ করার ব্যাপারে একমত হয়েছে দু’দেশ।’’
চিনের বক্তব্য
‘‘দু’পক্ষের সেনা পিছোনোর প্রশ্নে ইতিবাচক পদক্ষেপ
করা হয়েছে।’’
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, প্যাংগং লেক এবং দেপসাং এলাকায় লাল ফৌজ এখনও থাবা গেড়ে বসে রয়েছে, বিন্দুমাত্র পিছু হটার নাম করছে না। হট স্প্রিং এবং গোগরা অঞ্চল থেকে কিছু চিনা সেনাকে পিছু হটানো গিয়েছে ঠিকই, কিন্তু সম্পূর্ণ পশ্চাদপসরণ এখনও বহু দূর। ফলে চিনের বিবৃতিতে উল্লিখিত সেনা পিছোনোর ‘ইতিবাচক’ পদক্ষেপের বিষয়টি নেহাতই মিথ্যাচার বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিনেমা হল খোলা নিয়ে ভাবনায় মন্ত্রক
অন্য দিকে আজ ভোপালে শেষ হল চার দিনব্যাপী আরএসএস-এর সমাবেশ। সূত্রের খবর, সেখানে চিনকে মোকাবিলা করার কৌশল নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। চিনা সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে লড়তে গেলে সামরিক এবং কূটনৈতিক কৌশলের পাশাপাশি স্বদেশিয়ানা এবং উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy