Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
India-China Clash

পেরেকযুক্ত লাঠি নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে চিনা সেনারা! তার পরই বাধে সংঘর্ষ

শুক্রবার গভীর রাতে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ছয় জওয়ান আহত হন।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন প্রায় ৩০০ চিনা সেনা।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন প্রায় ৩০০ চিনা সেনা। ফাইল চিত্র ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:০৬
Share: Save:

পেরেক যুক্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে শুক্রবার রাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করেছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। সেই পেরেকযুক্ত লাঠিগুলি নিয়েই ভারতীয় জওয়ানদের উপর চড়াও হয়েছিল তাঁরা। এর পরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে।

৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার গভীর রাতে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। অভিযোগ, শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ করে লাঠি হাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন প্রায় ৩০০ চিনা সেনা। পিটিআই জানিয়েছে, চিনা সেনারা ১৭ হাজার ফুট উচ্চ একটি চূড়ার শীর্ষে ওঠার চেষ্টা করে। একটি ভারতীয় সেনা পোস্টও উপড়ে ফেলার চেষ্টা করেন পিএলএর জওয়ানরা। কিন্তু ভারতীয় সেনারা তাঁদের বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেনাসূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দাবি, হাতাহাতি এবং লাঠি-পাথর নিয়ে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ৬ জন জওয়ান আহত হন। গুয়াহাটিতে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় চিনা সেনাদেরও অনেকে আহত হন। পিটিআই জানিয়েছে, আহত চিনা সেনার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

তবে গালওয়ানের মতোই তাওয়াঙেও দ্বিপাক্ষিক সেনাস্তরের ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’ মেনে কোনও পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি।

কিছু সময় সংঘর্ষ চলার পর দ্বিপাক্ষিক ঊর্ধ্বতন সেনা স্তরের আলোচনায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে ‘সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র বিষয়ে ঐক্মত্য হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারী চিনা ফৌজকে ভারতীয় বাহিনী বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সংঘর্ষে মোট ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। বিভিন্ন পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ঘটনায় নিহত চিনা সেনাদের সংখ্যা ছিল আরও বেশি। যদিও বেজিং-এর পক্ষ থেকে তা কখনও স্বীকার করা হয়নি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy