সাবরমতী নদী থেকে উদ্ধার করা হয় দু’টি ফোন। প্রতীকী ছবি।
প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আয়কর দফতরের এক আধিকারিককে গ্রেফতার করল সিবিআই। অভিযুক্ত আয়কর আধিকারিকের নাম বিবেক জোহরি। তিনি গুজরাতের আমদাবাদের আয়কর দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে আর এক আয়কর আধিকারিকের দুর্নীতির প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সোমবার জোহরিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আয়কর দফতরের অতিরিক্ত কমিশনার সন্তোষ কারনানির বিরুদ্ধে ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষের অভিযোগ তুলে গুজরাতের দুর্নীতি দমন শাখার (এসিবি) দ্বারস্থ হন রূপেশ ব্রহ্মভট্ট নামে এক প্রোমোটার। তার পরই তদন্তে নামে এসিবি। সন্তোষ কারনানিকে ফাঁদে ফেলার জন্য জাল বিছোয় এসিবি। কারনানির বিরুদ্ধে এসিবি সক্রিয় হয়েছে, এটা আগেই জানতে পেরেছিলেন জোহরি।
সিবিআই সূত্রে খবর, এসিবি-র দল যখন আশ্রম রোডে আয়কর দফতরে কারনানিকে গ্রেফতার করতে যায়, তখন জোহরি শোরগোল ফেলে দেন। আর সেই সুযোগে কারনানি দফতর থেকে পালিয়ে যান। সহকর্মীকে পালানোয় সহযোগিতা করার অভিযোগ ওঠে জোহরির বিরুদ্ধে। তার পর থেকেই বেপাত্তা কারনানি। ঘটনাটি গত বছরের ৪ অক্টোবরের।
গত বছরের ১২ অক্টোবর গুজরাত সরকার এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেয়। সিবিআই সূত্রে খবর, পালানোর আগে কারনানি তাঁর মোবাইল দু’টি জোহরিকে দিয়ে যান। ওই মোবাইলে অনেক গোপন নথি ছিল। সিবিআই যাতে সেই নথি না পান, প্রমাণ লোপাটে সেই মোবাইল দু’টি সাবরমতী নদীতে ফেলে দেন জোহরি। এর পরই জোহরি জেরা করে মোবাইলের কথা জানতে পারে সিবিআই। তার পর নদীতে ডুবুরি নামিয়ে, এমনকি ‘সোনার’ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেই ফোন দু’টি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থল এক না হলেও একই রকম ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ। এই জেলার বড়ঞার তৃণমূল বিধায় জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাচক্রে এই মামলাতেও তদন্ত করছে সিবিআই। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়ির পুকুরেই নিজের ফোন ফেলে দিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। পুকুর থেকে জল সেঁচে, পাঁক ঘেঁটে সেই ফোন উদ্ধার করেছে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy